জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়, লক্ষ্মণ, করণীয়, কি খাওয়া উচিত

 

জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়

জ্বর (যা পাইরেক্সিয়া নামেও পরিচিত) হচ্ছে শারীরিক অসুস্থতার অন্যতম প্রধান লক্ষ্মণ, যা শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রার সীমার ৩৬–৩৭.২ °সে (৯৬.৮–৯৯.০ °ফা) অধিক তাপমাত্রা নির্দেশ করে। শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি সত্ত্বেও সাধারণত ঠান্ডা অনুভূত হয়। উচ্চ নির্দিষ্ট সূচক (set point) থেকে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হলে গরম অনুভূত হয়।

অনেক কারণেই জ্বর হতে পারে। কিছু তথ্য থেকে জানা যায় উচ্চ তাপমাত্রায় শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, যদিও, জ্বরের উপকারিতা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক আছে। তবে অ্যান্টিপাইরেটিক ওষুধ ব্যবহার করে জ্বর কমানো যায়। অনিয়ন্ত্রিত হাইপারথার্মিয়ার সাথে জ্বরের পার্থক্য আছে সেটা হল, হাইপারথার্মিয়া দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রক সূচকের অতিরিক্ত তাপমাত্রার ফল।

জ্বরকে আমরা সাধারণত যে ভাবে বুঝে থাকি

শরীরের উষ্ণতা বৃদ্ধি (>৯৮.৬° ফাঃ) । বিভিন্ন রোগে এই উপসর্গ দেখা মানুষের দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রার সীমা বেশ বড়। মানুষের দেহের তাপমাত্রা কোনো ক্রমেই ৯৫ ° ফাঃ এর কম বা ১১০ ° ফাঃ এর বেশি হতে পারে না। তার দেহের তাপমাত্রা মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রিত উচ্চ নির্দিষ্ট সূচক (set point)থেকে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হলে এবং
  • পায়ুপথের তাপমাত্রা ৩৭.৫-৩৮.৩° সে. বা তার বেশি হলে
  • মুখের তাপমাত্রা ৩৭.৭° সে. বা তার বেশি হলে
  • বাহু বা কানের তাপমাত্রা ৩৭.২° সে. বা তার বেশি হলে তা জ্বর বলে গণ্য হয়
একজন সুস্থ মানুষের জন্য মুখে ৩৩.২-৩৮.২° সে., পায়ুপথে ৩৪.৪-৩৭.৮° সে.,কান পর্দায় ৩৫.৪-৩৭.৮° সে. এবং বগলে ৩৫.৫-৩৭.০° সে. ই হল স্বাভাবিক তাপমাত্রা। দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা অনেকগুলো বিষয়ের ওপর নির্ভর করে যেমন বয়স, লিঙ্গ, সময় ,পারিপার্শ্বিক তাপমাত্রা, কাজের মাত্রা ইত্যাদি। তাপমাত্রা বৃদ্ধি মানেই জ্বর নয়। একজন সুস্থ লোক যখন ব্যায়াম করে তখন তার দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে কিন্তু তা জ্বর হিসেবে গণ্য হবে না যেহেতু তার মস্তিষ্কে নিয়ন্তিত নির্দিষ্ট সূচক (set point) স্বাভাবিক। অন্য দিকে স্বাভাবিক তাপমাত্রা ও কারও জন্য জ্বর হিসেবে গণ্য হতে পারে। যেমনঃ অসুস্থ রোগীর (যে দেহের তাপ উৎপাদনে দুর্বল) ৩৭.৩° সে. ই জ্বর হিসেবে গণ্য হবে।

জ্বরের প্রকারভেদ

তাপমাত্রা পরিবর্তনের ধরন রোগের উপর নির্ভরশীল: জ্বর এর পরিবর্তনের ধরন থেকেই কখনো কখনো রোগ নির্ণয় সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যেতে পারেঃ

একটানা জ্বরঃ সারাদিন ধরে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে এবং ২৪ ঘণ্টায় ১° সে. এর বেশি তাপমাত্রার পরিবর্তন হয় না। যেমনঃ লোবার নিউমোনিয়া, টাইফয়েড, মূত্রনালির ইনফেকশন, ব্রুসেলসিস, টাইফাস ইত্যাদি রোগের ক্ষেত্রে একটানা জ্বর পরিলক্ষিত হয়। টাইফয়েড রোগের ক্ষেত্রে জ্বরের একটি নির্দিষ্ট আঙ্গিক দেখা যায়। জ্বর ধাপে ধাপে বাড়ে এবং উচ্চ তাপমাত্রা অনেকক্ষণ থাকে।

নির্দিষ্ট বিরতিতে জ্বরঃ জ্বর একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বাড়ে এবং পরে তাপমাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যায়, যেমনঃ ম্যালেরিয়া, কালাজ্বর (kala-azar), পাইয়েমিয়া, সেপ্টিসেমিয়া (রক্তের সংক্রমন)। এর প্রকারভেদগুলো হলঃ
  • কুয়োটিডিয়ান জ্বর, যার পর্যায়কাল হল ২৪ ঘণ্টা, সাধারণত ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রে দেখা যায়
  • টারশিয়ান জ্বর, যার পর্যায়কাল ৪৮ ঘণ্টা, এটিও ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রে দেখা যায়।
  • কোয়ার্টান জ্বর, যার পর্যায়কাল ৭২ ঘণ্টা, এটি দেখা যায় Plasmodium malariae জীবাণুর ক্ষেত্রে।
স্বল্প বিরতিতে জ্বরঃ শরীরের তাপমাত্রা সারদিন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে এবং ২৪ ঘণ্টায় ১° সে. এর চেয়ে বেশি উঠা নামা করে। যেমনঃ infective endocarditis.

Pel-Ebstein জ্বরঃ এই বিশেষ ধরনের জ্বরটি হজকিন লিম্ফোমা এর ক্ষেত্রে দেখা যায়। জ্বর এক সপ্তাহ বেশি, এক সপ্তাহ কম- এভাবে চলতে থাকে। তবে আদৌ এ ধরনের জ্বর বিদ্যমান কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

দেহের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অবর্তমানে এক ধরনের জ্বর দেখা যায় যাকে বলা হয় "ফিব্রাইল নিউট্রোপেনিয়া " ।এক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধী নিউট্রোফিল এর অভাবে ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমন তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পরে। তাই এই রোগের জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। যেসব রোগীর কেমোথেরাপি চিকিৎসা চলছে যা কিনা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয় তাদের ক্ষেত্রে এই রোগ বেশি দেখা যায়।

Febricula, এটি একটি প্রাচীন শব্দ যা এমন ধরনের জ্বরের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় যখন তাপমাত্রা বেশি উঠে না এবং বিশেষ করে যখন জ্বরের কারণ অজানা থাকে। এ ধরনের জ্বর থেকে রোগী এক সপ্তাহে সেরে ওঠে।

জ্বরের লক্ষ্মণ

জ্বরের সাথে সাধারণত অসুস্থ ভাব দেখা যায় যেমন অবসন্নতা, ক্ষুধামান্দ্য, ঘুম ঘুম ভাব, শরীরে ব্যাথা, মনোযোগ দিতে না পারা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যায়।

জ্বরের প্রতিকার

জ্বর যদিও কোন রোগ নয়, এটিকে বড় কোন রোগের লক্ষন বলা যেতে পারে।কিন্তু ভাইরাস জনিত জ্বরের ক্ষেত্রে রোগীকে কিছু পরামর্শ প্রদান করা যেতে পারে। যেমনঃ
  • রোগীর শরীর যদি খুব বেশি উতপ্ত থাকে তাহলে তার শরীর কে ঠাণ্ডা রাখার বাবস্থা করতে হবে
  • রোগীর শরীরকে সর্বদা মুছে দিতে হবে যাতে রোগীর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • রোগীর হাত এবং পায়ের তলা মুছে দিতে হবে। এতে রোগী স্বস্তি অনুভব করবে ।
  • রোগীকে একটু খোলা জায়গাতে রাখতে হবে যাতে করে রোগী আরও দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে ।
  • এছাড়াও শরীর ব্যথায় পথ্য হিসেবে প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ গ্রহণ করা যেতে পারে।
জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়

শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে দুশ্চিন্তায় আমরা হুটহাট ওষুধ খেয়ে ফেলি। অনেকে আবার একধাপ এগিয়ে ওষুধের দোকান থেকে অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খেয়ে ফেলেন। প্রথম কথা হলো, কোনো ধরনের অসুস্থায়ই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবন করা যাবে না। দ্বিতীয়ত, জ্বরের ক্ষেত্রে থাকতে হবে আরও বেশি সতর্ক। এর কারণ হলো, আমাদের শরীর একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রা পর্যন্ত জ্বর নিজেই প্রতিরোধ করতে পারে।

জ্বর কমিয়ে বাইরে বের হওয়া খুব জরুরি হলে প্যারাসিটামল জাতীয় ট্যাবলেট খেতে পারেন। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে কখনোই অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না। জ্বর যদি খুব বেশি না হয় বা জ্বর বেশি এলেও তা দ্রুত কমিয়ে সহনশীল পর্যায়ে আনার জন্য ঘরোয়া এই উপায়গুলো মেনে চলতে পারেনঃ

মাথায় পানিপট্টি দিন

জ্বর হলে শরীরের অতিরিক্ত তাপমাত্রা কমানোর অন্যতম কার্যকরী পদ্ধতি হলো জলপট্টি দেওয়া। সেজন্য একটি পরিষ্কার রুমাল ভাঁজ করে সেটি পরিষ্কার পানিতে ভিজিয়ে নিন। এরপর ভেজা রুমালটি রোগীর কপালের উপর দিয়ে রাখতে হবে। এভাবে মিনিট দুয়েক পর রুমালটি পুনরায় ভিজিয়ে একইভাবে কপালের উপর দিয়ে রাখতে হবে। এভাবে কয়েকবার করলে শরীরের তাপমাত্রা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

তুলসি পাতার ব্যবহার

৮-১০টি তুলসি পাতা নিন। এবার পাতাগুলো পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন। একটি পাত্রে পানি গরম হতে দিন। এর সঙ্গে দিয়ে দিন তুলসি পাতা। ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন। এই পানি প্রতিদিন সকালে এককাপ করে খান। তুলসি পাতায় থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান জ্বর, সর্দি, গলা ব্যথা, ব্রংকাইটিস, ম্যালেরিয়ার মতো অনেক রোগের উপশমে সাহায্য করে। এই পাতা শরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।

জ্বর কমাবে মধু

এক চা চামচ মধু, অর্ধেকটা লেবুর রস ও এককাপ গরম পানি নিন। এবর সব একসঙ্গে মিশিয়ে নিন ভালো করে। এই মিশ্রণ দিনে দুইবার খান। মধুতে আছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান, যা শরীরের ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে। এর ফলে ভাইরাসজনিত জ্বর কমানো সহজ হবে। ভাইরাস জনিত রোগের ক্ষেত্রে লেবুর রস ও মধু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এগুলো শরীরের অতিরিক্ত তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

আদা দিয়ে সমাধান

আধা চা চামচ আদা বাটা ও এক চা চামচ মধু নিন। এককাপ গরম পানিতে আদা বাটা দিয়ে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন। এরপর তার সঙ্গে মেশান মধু। এই মিশ্রণ দিনে তিন-চারবার পান করতে হবে। এছাড়াও এক চা চামচ লেবুর রস, আধা চা চামচ আদার রস ও এক চা চামচ মধু মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে সেটিও দিনে তিন-চারবার খেতে পারেন। এতে জ্বর কমতে থাকবে। কারণ আদা হলো প্রাকৃতিক অ্যান্টি ভাইরাস। এটি শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

জ্বর কমাতে রসুনের ব্যবহার

এককোয়া রসুন ও এককাপ গরম পানি নিন। রসুন কুচি করে নিয়ে গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন দশ মিনিট। এরপর রসুনের কুচিগুলো ছেঁকে নিয়ে পানিটুকু চায়ের মতো খেয়ে নিন। এভাবে দিনে দুইবার খেতে হবে। এছাড়াও রসুন ছেঁচে নিয়ে তার সঙ্গে অলিভ অয়েল মিশিয়ে মিশ্রণটি পায়ের তালুতে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। এরপর পাতলা কোনো কাপড়ে পা পেঁচিয়ে রাখুন সারারাত। সকালে উঠে দেখবেন জ্বর একেবারে সেরে গেছে। তবে গর্ভবতী বা শিশুর ক্ষেত্রে এটি করা যাবে না।

তরল খাবার

বুকে কফ জমে গেলে তা বের করা কঠিন। এমনকি ঠিকভাবে চিকিৎসা না হলে হতে পারে ইনফেকশন। তাই সর্দিকাশির সময় কোনোভাবেই যেন বুকে কফ বসে না যায়। এর জন্য খেতে হবে প্রচুর তরল। বিশুদ্ধ পানি পানের পাশাপাশি ফ্রুট জুস বা স্যুপ জাতীয় খাবার খান নিয়মিত। তরল খাবার কফকে সহজে বুকে বসতে দেয় না।

বিশ্রাম

এইসময় জ্বর অনুভূত হলে বাড়ি থেকে কোথাও না বেরিয়ে বাড়িতেই বিশ্রাম নিন। এতে সংক্রমণের আশঙ্কা কমে। এই সময় শরীর যথেষ্ট দুর্বল থাকে। তাই ঠিকঠাক বিশ্রাম নিতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুমের। বাড়িতে চেষ্টা করুন পর্যাপ্ত ঘুমিয়ে নেয়ার।

জ্বর হলে কি খাওয়া উচিত

জ্বর হলে মুখে আর কোনোকিছুই যেন রোচে না। তখন মধুকেও যেন চিরতার রস মনে হয়। স্বাভাবিক সব খাবার বন্ধ করে তখন খেতে হয় পথ্য ধরনের খাবার। মুখে না রুচলেও একপ্রকার জোর করেই খেতে হয়। তবে এমনকিছু খাওয়া উচিত যা শরীরে শক্তি যোগানোর পাশাপাশি জ্বর সারাতে সাহায্য করবে। চলুন জেনে নেই এমনই কিছু খাবারের কথা।

আদা দিয়ে গলানো ভাত খুব একটা উপাদেয় নয় কিন্তু ফ্লু-এর ক্ষেত্রে শরীরের জন্য বেশ উপকারী। ভাতটা গলা গলা  থাকলে ভালো।

আপেল, কমলালেবু, আঙুর, আনারস ইত্যদি ফলে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ রয়েছে। তাই জ্বরের সময় ফ্রুট সালাদ খাওয়া উচিত বেশি করে।

যে কোনও নরম খাবার যেমন সবজি, ডিমসেদ্ধ ইত্যাদি খাবার হজম হতে সুবিধে হয়। ভাত চটকে খাওয়া যাদের পছন্দ নয় তারা এই খাবারগুলি খেতে পারেন। এগুলি পুষ্টিগুণেও ভরপুর।

আদার মতোই রসুনও সর্দিজ্বর নিরাময়ে খুবই কার্যকরী। এককাপ মতো পানিতে একটি কোয়া ফেলে ফুটিয়ে নিয়ে সেই ইষদুষ্ণ পানি দিনে দুইবার খেলে জ্বর কমাতে সাহায্য করে।

জ্বরের সময় মাঝেমধ্যেই একটি-দুটি করে কিসমিস খাওয়া ভালো কারণ এতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। তাছাড়া শরীরে এনার্জি সরবরাহ করে এই ড্রাই ফ্রুট।

দিনে দুইবার কমলালেবুর রস খেলে উপকার পাবেন।

সর্দি-কাশি প্রতিরোধে পরিচিত টোটকা তুলসি-মধু। জ্বর হলে একটি-দু’টি পাতা চিবিয়ে খেলেও উপকার হবে।

প্রোবায়োটিক হলো ভালো ব্যাকটেরিয়া যারা শরীরে বাসা বেঁধে অন্যান্য ভাইরাসের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে। চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে কোনও প্রোবায়োটিক ড্রিংক খাওয়া যায়। এছাড়া ইয়োগার্ট বা বাটারমিল্কও প্রোবায়োটিক ফুড।

জ্বর হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত

জ্বর হওয়ার প্রথম তিন দিন শুধু সঠিক পরিমাণে প্যারাসিটামলজাতীয় ওষুধ খান। জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামলের পরিবর্তে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অন্য কোনো ব্যথানাশক ওষুধ যেমন- অ্যাসপিরিন, আইবুপ্রোফেন বা কোনো ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করবেন না।

Next Post Previous Post