সূরা হাশর | অর্থ, বাংলা উচ্চারণ ও নামকরণের ইতিহাস

 

সূরা হাশর

সূরা আল-হাশর‌  কুরআনের ৫৯ তম সূরা, এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ২৪। সূরা আল-হাশর‌ মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছে।

নামকরণ

এই সূরাটির দ্বিতীয় আয়াতের أَخْرَجَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ مِنْ دِيَارِهِمْ لِأَوَّلِ الْحَشْرِ বাক্যাংশের الْحَشْرِ অংশ থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে; অর্থাৎ, যে সূরার মধ্যে الْحَشْرِ (‘হাশর‌’) শব্দটি আছে এটি সেই সূরা।

সূরা হাশরের অর্থ ও বাংলা উচ্চারণ

سَبَّحَ لِلّٰهِ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الۡاَرۡضِ ۚ وَ هُوَ الۡعَزِیۡزُ الۡحَکِیۡمُ

সাব্বাহা-লিল্লা-হি মা-ফিস্ সামা-ওয়া-তি অমা-ফিল্ র্আদ্বি অহুওয়াল্ ‘আযীযুল্ হাকীম্

আসমানসমূহে ও যমীনে যা কিছু আছে সবই আল্লাহর তাসবীহ পাঠ করছে এবং তিনি মহা পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।

هُوَ الَّذِیۡۤ اَخۡرَجَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا مِنۡ اَهۡلِ الۡکِتٰبِ مِنۡ دِیَارِهِمۡ لِاَوَّلِ الۡحَشۡرِ ؕؔ مَا ظَنَنۡتُمۡ اَنۡ یَّخۡرُجُوۡا وَ ظَنُّوۡۤا اَنَّهُمۡ مَّانِعَتُهُمۡ حُصُوۡنُهُمۡ مِّنَ اللّٰهِ فَاَتٰىهُمُ اللّٰهُ مِنۡ حَیۡثُ لَمۡ یَحۡتَسِبُوۡا ٭ وَ قَذَفَ فِیۡ قُلُوۡبِهِمُ الرُّعۡبَ یُخۡرِبُوۡنَ بُیُوۡتَهُمۡ بِاَیۡدِیۡهِمۡ وَ اَیۡدِی الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ٭ فَاعۡتَبِرُوۡا یٰۤاُولِی الۡاَبۡصَارِ

হুওয়াল্ লাযী য় আখ্ রজ্বাল্লাযীনা কাফারূ মিন্ আহ্লিল্ কিতা-বি মিন্ দিয়া-রিহিম্ লিআওয়্যালিল্ হাশ্র; মা-জোয়ানান্তুম্ আইঁ ইয়াখ্রুজ্ব ক্র অজোয়ান্ন ক্র য় আন্নাহুম্ মা-নি‘আতুহুম্ হূছূনুহুম্ মিনাল্লা-হি ফাআতা-হুমুল্লা-হু মিন্ হাইছু লাম্ ইয়াহ্তাসিবূ অক্বযাফা ফী কুলূ বিহির্মু রু’বা ইয়ুখ্রিবূনা বুইয়ূতাহুম্ বিআইদীহিম্ অ আইদিল্ মু”মিনীনা ফা’তাবিরূ ইয়া য় উলিল্ আব্ছোয়ার্-।

আহলে কিতাবদের মধ্যে যারা কুফরি করেছিল তিনিই তাদেরকে তাদের ঘর-বাড়ী থেকে বের করে দিয়েছিলেন প্রথমবারের মত। তোমরা ধারণাও করনি যে, তারা বেরিয়ে যাবে। আর তারা ধারণা করেছিল যে, তাদের দগু র্গু লো তাদেরকে আল্লাহর আযাব থেকে রক্ষা করবে। কিন্তু আল্লাহর আযাব এমন এক দিক থেকে আসল যা তারা কল্পনাও করতে পারেনি এবং তিনি তাদের অন্তরসমূহে ত্রাসের সঞ্চার করলেন, ফলে তারা তাদের বাড়ী-ঘর আপন হাতে ও মুমিনদের হাতে ধ্বংস করতে শুরু করল। অতএব হে দৃষ্টিমান লোকেরা তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর।’

وَ لَوۡ لَاۤ اَنۡ کَتَبَ اللّٰهُ عَلَیۡهِمُ الۡجَلَآءَ لَعَذَّبَهُمۡ فِی الدُّنۡیَا ؕ وَ لَهُمۡ فِی الۡاٰخِرَۃِ عَذَابُ النَّارِ

অলাওলা য় আন্ কাতাবা ল্লা-হু ‘আলাইহিমুল্ জ্বালা-য়া লা‘আয্ যাবাহুম্ ফিদ্দুন্ইয়া-; অলাহুম্ ফিল্ ‘আ-খিরতি ‘আযা-বুন্ নার্-।

আর আল্লাহ যদি তাদের জন্য নির্বাসন লিপিবদ্ধ না করতেন, তবে তিনি তাদেরকে দুনিয়াতে শাস্তি দিতেন এবং তাদের জন্য আখিরাতে রয়েছে আগুনের শাস্তি।

ذٰلِکَ بِاَنَّهُمۡ شَآقُّوا اللّٰهَ وَ رَسُوۡلَهٗ ۚ وَ مَنۡ یُّشَآقِّ اللّٰهَ فَاِنَّ اللّٰهَ شَدِیۡدُ الۡعِقَابِ

যা-লিকা বিআন্নাহুম্ শা-কক্ব ক্রল্লা-হা অরসূলাহূ অমাইঁ ইয়ুশা-কক্বি ল্লা-হা ফাইন্নাল্লা-হা শাদীদুল্ ই’ক্বা-ব্।

এটি এ জন্য যে, তারা সত্যিই আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করেছিল। আর যে আল্লাহর বিরুদ্ধাচরণ করে, তবে নিশ্চয় আল্লাহ আযাব প্রদানে কঠোর।

مَا قَطَعۡتُمۡ مِّنۡ لِّیۡنَۃٍ اَوۡ تَرَکۡتُمُوۡهَا قَآئِمَۃً عَلٰۤی اُصُوۡلِهَا فَبِاِذۡنِ اللّٰهِ وَ لِیُخۡزِیَ الۡفٰسِقِیۡنَ

মা-ক্বাত্বোয়া’তুম্ মিল্লীনাতিন্ আওতারক্তুমূহা-ক্ব-য়িমাতান্ ‘আলা য় উছূ লিহা-ফাবিইয্ নিল্লা-হি অ লিইয়ুখ্যিয়াল্ ফা-সিক্বীন্।

তোমরা যে সব নতুন খেজুর গাছ কেটে ফেলছ অথবা সেগুলোকে তাদের মূলের ওপর দাঁড়িয়ে থাকতে দিয়েছ। তা তো ছিল আল্লাহর অনুমতিক্রমে এবং যাতে তিনি ফাসিকদের লাঞ্ছিত করতে পারেন।

وَ مَاۤ اَفَآءَ اللّٰهُ عَلٰی رَسُوۡلِهٖ مِنۡهُمۡ فَمَاۤ اَوۡجَفۡتُمۡ عَلَیۡهِ مِنۡ خَیۡلٍ وَّ لَا رِکَابٍ وَّ لٰکِنَّ اللّٰهَ یُسَلِّطُ رُسُلَهٗ عَلٰی مَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَ اللّٰهُ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌ 

অমা য় আফা-য়াল্লা-হু ‘আলা-রসূলিহী মিন্হুম্ ফামা য় আওজ্বাফ্তুম্ ‘আলাইহি মিন্ খাইলিঁও অলা-রিকা-বিঁও অলা-কিন্নাল্লা-হা ইয়ুসাল্লিতু রুসুলাহূ ‘আলা-মাইঁ ইয়াশা-য়্; অল্লা-হু ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন্ ক্বর্দী। 

আল্লাহ ইয়াহুদিদের নিকট থেকে তাঁর রাসূলকে ‌‌‌‌‌ফায় হিসেবে যা দিয়েছেন তোমরা তার জন্য কোন ঘোড়া বা উটে আরোহণ করে অভিযান পরিচালনা করনি। বরং আল্লাহ তাঁর রাসূলগণকে যাদের ওপর ইচ্ছা কতৃর্ত প্রদান করেন। আল্লাহ সকল কিছুর ওপর সর্বশক্তিমান।

مَاۤ اَفَآءَ اللّٰهُ عَلٰی رَسُوۡلِهٖ مِنۡ اَهۡلِ الۡقُرٰی فَلِلّٰهِ وَ لِلرَّسُوۡلِ وَ لِذِی الۡقُرۡبٰی وَ الۡیَتٰمٰی وَ الۡمَسٰکِیۡنِ وَ ابۡنِ السَّبِیۡلِ ۙ کَیۡ لَا یَکُوۡنَ دُوۡلَۃًۢ بَیۡنَ الۡاَغۡنِیَآءِ مِنۡکُمۡ ؕ وَ مَاۤ اٰتٰىکُمُ الرَّسُوۡلُ فَخُذُوۡهُ ٭ وَ مَا نَهٰىکُمۡ عَنۡهُ فَانۡتَهُوۡا ۚ وَ اتَّقُوا اللّٰهَ ؕ اِنَّ اللّٰهَ شَدِیۡدُ الۡعِقَابِ

মা য় আফা-য়াল্লা-হু ‘আলা- রসূলিহী মিন্ আহ্লিল্ কুরা-ফালিল্লা-হি অর্লিরসূলি অলিযিল্ কুরবা- অল্ ইয়াতা-মা-অল্ মাসা-কীনি অব্নিস্ সাবীলি কাই লা-ইয়াকূনা দূলাতাম্ বাইনাল্ আগ্নিয়া-য়ি মিন্কুম্; অমা য় আ-তা-কুর্মু রসূলু ফাখুযূহু অমা-নাহা-কুম্ ‘আন্হু ফান্তাহূ অত্তাকুল্লা-হ্; ইন্না ল্লা-হা শাদী দুল্ ‘ইক্ব-ব্।

আল্লাহ জনপদবাসীদের নিকট থেকে তাঁর রাসূলকে ফায় হিসেবে যা দিয়েছেন তা আল্লাহর, রাসূলের, আত্মীয়-স্বজনদের, ইয়াতীমদের, মিসকীন ও মুসাফিরদের এটি এ জন্য যে, যাতে ধন-সম্পদ তোমাদের মধ্যকার বিত্তশালীদের মাঝেই কেবল আবর্তিত না থাকে। রাসূল তোমাদের যা দেয় তা গ্রহণ কর, আর যা থেকে সে তোমাদের নিষেধ করে তা থেকে বিরত হও এবং আল্লাহকেই ভয় কর, নিশ্চয় আল্লাহ শাস্তি প্রদানে কঠোর।

لِلۡفُقَرَآءِ الۡمُهٰجِرِیۡنَ الَّذِیۡنَ اُخۡرِجُوۡا مِنۡ دِیَارِهِمۡ وَ اَمۡوَالِهِمۡ یَبۡتَغُوۡنَ فَضۡلًا مِّنَ اللّٰهِ وَ رِضۡوَانًا وَّ یَنۡصُرُوۡنَ اللّٰهَ وَ رَسُوۡلَهٗ ؕ اُولٰٓئِکَ هُمُ الصّٰدِقُوۡنَ

লিল্ ফুক্বারা-য়িল্ মুহাজ্বিরীনাল্ লাযীনা উখ্রিজ্ব ক্রমিন্ দিয়া- রিহিম্ অ আম্ওয়া-লিহিম্ ইয়াব্তাগূনা ফাদ্বলাম্ মিনাল্লা-হি অ রিদ্বওয়া-নাওঁ অ ইয়ান্ ছুরূনা ল্লা-হা অ রসূলাহ্; উলা-য়িকা হুমুছ্ ছোয়া-দিক্ব ক্রন্।

এই সম্পদ নিঃশর্ত মুহাজিরগণের জন্য ও যাদেরকে নিজেদের ঘর-বাড়ী ও ধন-সম্পত্তি থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল। অথচ এরা আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টির অন্বেষণ করে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে সাহায্য করেন। এরাই তো সত্যবাদী।

وَ الَّذِیۡنَ تَبَوَّؤُ الدَّارَ وَ الۡاِیۡمَانَ مِنۡ قَبۡلِهِمۡ یُحِبُّوۡنَ مَنۡ هَاجَرَ اِلَیۡهِمۡ وَ لَا یَجِدُوۡنَ فِیۡ صُدُوۡرِهِمۡ حَاجَۃً مِّمَّاۤ اُوۡتُوۡا وَ یُؤۡثِرُوۡنَ عَلٰۤی اَنۡفُسِهِمۡ وَ لَوۡ کَانَ بِهِمۡ خَصَاصَۃٌ ؕ۟ وَ مَنۡ یُّوۡقَ شُحَّ نَفۡسِهٖ فَاُولٰٓئِکَ هُمُ الۡمُفۡلِحُوۡنَ

অল্লাযীনা তাবাওয়্যায়ুদ্ দা-রা অল্ঈমা-না মিন্ ক্বব্লিহিম্ ইয়ুহিব্বূনা মান্ হা-জ্বারা ইলাইহিম্ অলা-ইয়াজ্বিদূনা ফী ছুদূরিহিম্ হা-জ্বাতাম্ মিম্মা য় উতূ অইয়ু”ছিরূনা ‘আলা য় আন্ফুসিহিম্ অ লাও কা-না বিহিম্ খাছোয়া-ছোয়াহ্; অমাইঁইয়ূক্বা শুহ্হা নাফসিহী ফাউলা-য়িকা হুমুল্ মুফ্লিহূন্ ।

আর মুহাজিরদের আগমনের পূর্বে যারা মদীনাকে নিবাস হিসেবে গ্রহণ করেছিল এবং ঈমান এনেছিল (তাদের জন্যও এ সম্পদে অংশ রয়েছে), আর যারা তাদের কাছে হিজরত করে এসেছে তাদেরকে ভালবাসে। আর মুহাজরিদেরকে যা প্রদান করা হয়েছে তার জন্য এরা তাদের অন্তরে কোন ঈর্ষা অনুভব করে না এবং নিজেদের অভাব থাকা সত্ত্বেও নিজেদের ওপর তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়। যাদের মনের কাপর্ণ্য থেকে রক্ষা করা হয়েছে, তারাই সফলকাম।

وَ الَّذِیۡنَ جَآءُوۡ مِنۡۢ بَعۡدِهِمۡ یَقُوۡلُوۡنَ رَبَّنَا اغۡفِرۡ لَنَا وَ لِاِخۡوَانِنَا الَّذِیۡنَ سَبَقُوۡنَا بِالۡاِیۡمَانِ وَ لَا تَجۡعَلۡ فِیۡ قُلُوۡبِنَا غِلًّا لِّلَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا رَبَّنَاۤ اِنَّکَ رَءُوۡفٌ رَّحِیۡمٌ

অল্লাযীনা জ্বা-ঊ মিম্ বা’দিহিম্ ইয়াক্ব ক্রলূনা রব্বানাগ্ ফিরলানা-অলিইখ্ওয়া-নিনাল লাযীনা সাবাক্ব ক্রনা বিল্ ঈমা-নি অলা- তাজ্ব ‘আল্ ফী কুলূবিনা-গিল্লাল্লিল্লাযীনা আ-মানূ রব্বানা য় ইন্নাকা রায়ূফুর রহীম্। 

যারা তাদের পরে এসেছে তারা বলে: ‘হে আমাদের রব, আমাদেরকে ও আমাদের ভাই যারা ঈমান নিয়ে আমাদের পূর্বে অতিক্রান্ত হয়েছে তাদেরকে ক্ষমা করুন; এবং যারা ঈমান এনেছিল তাদের জন্য আমাদের অন্তরে কোন বিদ্বেষ রাখবেন না; হে আমাদের রব, নিশ্চয় আপনি দয়াবান, পরম দয়ালু।

اَلَمۡ تَرَ اِلَی الَّذِیۡنَ نَافَقُوۡا یَقُوۡلُوۡنَ لِاِخۡوَانِهِمُ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا مِنۡ اَهۡلِ الۡکِتٰبِ لَئِنۡ اُخۡرِجۡتُمۡ لَنَخۡرُجَنَّ مَعَکُمۡ وَ لَا نُطِیۡعُ فِیۡکُمۡ اَحَدًا اَبَدًا ۙ وَّ اِنۡ قُوۡتِلۡتُمۡ لَنَنۡصُرَنَّکُمۡ ؕ وَ اللّٰهُ یَشۡهَدُ اِنَّهُمۡ لَکٰذِبُوۡنَ

আলাম্ তারা ইলাল্লাযীনা না-ফাক্ব ক্র ইয়াক্ব ক্রলূনা লিইখ্ওয়া-নিহিমুল্লাযীনা কাফারূ মিন্ আহ্লিল্ কিতা-বি লায়িন্ উখ্রিজ্ব তুম্ লানাখ্রুজ্বান্না মা‘আকুম্ অলা-নুত্বী‘ঊ ফীকুম্ আহাদান্ আবাদাঁও অইন্ ক্ব ক্র তিল্তুম্ লানান্ ছুরন্নাকুম্; অল্লা-হু ইয়াশ্হাদু ইন্নাহুম্ লাকা-যিবূন্।

তুমি কি মুনাফিকদেরকে দেখনি যারা আহলে কিতাবের মধ্য হতে তাদের কাফির ভাইদেরকে বলে, ‘তোমাদেরকে বের করে দেয়া হলে আমরাও তোমাদের সাথে অবশ্য বেরিয়ে যাব এবং তোমাদের ব্যাপারে আমরা কখনোই কারো আনুগত্য করব না। আর তোমাদের সাথে যুদ্ধ করা হলে আমরা অবশ্যই তোমাদেরকে সাহায্য করব।’ আর আল্লাহ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, তারা মিথ্যাবাদী।

لَئِنۡ اُخۡرِجُوۡا لَا یَخۡرُجُوۡنَ مَعَهُمۡ ۚ وَ لَئِنۡ قُوۡتِلُوۡا لَا یَنۡصُرُوۡنَهُمۡ ۚ وَ لَئِنۡ نَّصَرُوۡهُمۡ لَیُوَلُّنَّ الۡاَدۡبَارَ ۟ ثُمَّ لَا یُنۡصَرُوۡنَ

লায়িন্ উখ্রিজ্ব ক্রলা-ইয়াখ্রুজ্ব ক্রনা মা‘আহুম্ অলায়িন্ ক্ব ক্রতিলূ লা-ইয়ান্ ছুরূনাহুম্ অলায়িন্ নাছোয়ারূ হুম্ লাইয়ুওয়াল্লুন্নাল্ আদ্বা-রা ছুম্মা লা-ইয়ুন্ছোয়ারূন্।

তারা (ইহুদিরা) যদি বহিষ্কৃত হয় তবে এরা (মুনাফিকরা) কখনো তাদের সাথে বেরিয়ে যাবে না আর তাদের (ইয়াহুদিদের) সাথে যদি যুদ্ধ করা হয় এরা (মুনাফিকরা) কখনো তাদেরকে সাহায্য করবে না। আর যদি তাদেরকে সাহায্য করে তবে তারা অবশ্যই পিঠ দেখিয়ে পালাবে; এরপর তারা কোন সাহায্যই পাবে না।

لَاَنۡتُمۡ اَشَدُّ رَهۡبَۃً فِیۡ صُدُوۡرِهِمۡ مِّنَ اللّٰهِ ؕ ذٰلِکَ بِاَنَّهُمۡ قَوۡمٌ لَّا یَفۡقَهُوۡنَ 

লা আন্তুম্ আশাদ্দু রহ্বাতান্ ফী ছুদূরিহিম্ মিনা ল্লা-হ্; যা-লিকা বিআন্নাহুম্ ক্বওমুল্ লা-ইয়াফ্ক্বহূন্।

প্রকৃতপক্ষে তাদের অন্তরে আল্লাহর চাইতে তোমাদের ভয় বেশী; এটা এ কারণে যে, তারা অবুঝ সম্প্রদায়।

لَا یُقَاتِلُوۡنَکُمۡ جَمِیۡعًا اِلَّا فِیۡ قُرًی مُّحَصَّنَۃٍ اَوۡ مِنۡ وَّرَآءِ جُدُرٍ ؕ بَاۡسُهُمۡ بَیۡنَهُمۡ شَدِیۡدٌ ؕ تَحۡسَبُهُمۡ جَمِیۡعًا وَّ قُلُوۡبُهُمۡ شَتّٰی ؕ ذٰلِکَ بِاَنَّهُمۡ قَوۡمٌ لَّا یَعۡقِلُوۡنَ 

লা-ইয়ুক্ব-তিলূনাকুম্ জ্বামী‘আন্ ইল্লা-ফী কুরম্ মুহাছ্ ছনাতিন্ আও মিওঁ অর-য়ি জ্ব ুর্দু; বা”সুহুম্ বাইনাহুম্ শাদীদ্; তাহ্সাবুহুম্ জ্বামীয়াঁও অ কুলূবুহুম্ শাত্তা-; যা-লিকা বিআন্নাহুম্ ক্বওমুল্লা-ইয়া’ক্বিলূন্।

তারা সম্মিলিতিভাবে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে না তবে সুরক্ষিত জনপদের মধ্যে অবস্থান করে বা দেয়ালের পেছন হতে; তারা নিজেরা নিজেদেরকে প্রবল শক্তিধর মনে করে; তুমি তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ মনে করছ অথচ তাদের অন্তরসমূহ বিচ্ছিন। এটি এজন্য যে, তারা নির্বোধ সম্প্রদায়।

کَمَثَلِ الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِهِمۡ قَرِیۡبًا ذَاقُوۡا وَبَالَ اَمۡرِهِمۡ ۚ وَ لَهُمۡ عَذَابٌ اَلِیۡمٌ

কামাছালিল্ লাযীনা মিন্ ক্বব্লিহিম্ ক্বরীবান্ যা-ক্ব ক্র অবা- লা আম্রিহিম্ অলাহুম্ ‘আযা-বুন্ আলীম্।

তাদের অব্যবহিত পূর্বসূরিদের ন্যায়, যারা নিজেদের কৃতকর্মের কুফল আস্বাদন করেছে; আর তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রনাদায়ক আযাব।

کَمَثَلِ الشَّیۡطٰنِ اِذۡ قَالَ لِلۡاِنۡسَانِ اکۡفُرۡ ۚ فَلَمَّا کَفَرَ قَالَ اِنِّیۡ بَرِیۡٓءٌ مِّنۡکَ اِنِّیۡۤ اَخَافُ اللّٰهَ رَبَّ الۡعٰلَمِیۡنَ

কামাছালিশ্ শাইত্বোয়া-নি ইয্ ক্ব-লা লিল্ইন্সা-নিক্ র্ফু ফালাম্মা-কাফারা ক্ব-লা ইন্নী বারী-য়ুম্ মিন্কা ইন্নী য় আখ-ফুল্লা-হা রব্বাল্ ‘আ-লামীন্।

(এরা) শয়তান-এর ন্যায়, সে মানুষকে বলেছিল, ‘কুফরি কর’, অতঃপর যখন সে কুফরি করল তখন সে বলল, আমি তোমার থেকে মুক্ত; নিশ্চয় আমি সকল সৃষ্টির রব আল্লাহকে ভয় করি।

فَکَانَ عَاقِبَتَهُمَاۤ اَنَّهُمَا فِی النَّارِ خَالِدَیۡنِ فِیۡهَا ؕ وَ ذٰلِکَ جَزٰٓؤُا الظّٰلِمِیۡنَ

ফাকা-না ‘আক্বিবাতাহুমা য় আন্নাহুমা-ফিন্না-রি খা-লিদাইনি ফীহা-; অযা-লিকা জ্বাযা-য়ুজ্ জোয়া-লিমীন্।

তাদের দু জনের পরিণতি ছিল এই যে, তারা দু জনেই জাহান্নামী হবে, সেখানে তারা স্থায়ী হবে; আর এটাই যালিমদের প্রতিদান।

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰهَ وَ لۡتَنۡظُرۡ نَفۡسٌ مَّا قَدَّمَتۡ لِغَدٍ ۚ وَ اتَّقُوا اللّٰهَ ؕ اِنَّ اللّٰهَ خَبِیۡرٌۢ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ

ইয়া য় আইয়্যুহাল্ লাযীনা আ-মানুত্তাকুল্লা-হা অল্ তার্ন্জু নাফ্সুম্ মা-ক্বাদ্দামাত্ লিগাদিন্ অত্তা কুল্লা-হ্; ইন্নাল্লা-হা খাবীরুম্ বিমা-তা’মালূন্।

হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর; আর প্রত্যেকের উচিত চিন্তা করে দেখা সে আগামীকালের জন্য কি প্রেরণ করেছে; তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। তোমরা যা কর নিশ্চয় আল্লাহ সে বিষয়ে সম্যক অবহিত।

وَ لَا تَکُوۡنُوۡا کَالَّذِیۡنَ نَسُوا اللّٰهَ فَاَنۡسٰهُمۡ اَنۡفُسَهُمۡ ؕ اُولٰٓئِکَ هُمُ الۡفٰسِقُوۡنَ

অলা-তাকূনূ কাল্লাযীনা নাসুল্লা-হা ফাআন্সা-হুম্ আন্ফুসাহুম্; উলা-য়িকা হুমুল্ ফা-সিক্ব ক্রন্।

তোমরা তাদের মত হইও না, যারা আল্লাহকে ভুলে গিয়েছিল ফলে আল্লাহও তাদেরকে আত্মবিস্মৃত করে দিয়েছিলেন; আর তারাই হল ফাসিক।

لَا یَسۡتَوِیۡۤ اَصۡحٰبُ النَّارِ وَ اَصۡحٰبُ الۡجَنَّۃِ ؕ اَصۡحٰبُ الۡجَنَّۃِ هُمُ الۡفَآئِزُوۡنَ

লা-ইয়াস্তাওয়ী য় আছ্হা-বুন্না-রি অ আছ্হা-বুল্ জ্বান্নাহ্; আছহা-বুল্ জ্বান্না-তি হুমুল্ ফা-য়িযূন্।

জাহান্নামবাসী ও জান্নাতবাসীরা সমান নয়; জান্নাতবাসীরাই সফলকাম।

لَوۡ اَنۡزَلۡنَا هٰذَا الۡقُرۡاٰنَ عَلٰی جَبَلٍ لَّرَاَیۡتَهٗ خَاشِعًا مُّتَصَدِّعًا مِّنۡ خَشۡیَۃِ اللّٰهِ ؕ وَ تِلۡکَ الۡاَمۡثَالُ نَضۡرِبُهَا لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمۡ یَتَفَکَّرُوۡنَ

লাও আন্যালনা- হা-যাল্ কুরআ-না ‘আলা- জ্বাবালিল্ লারয়াইতাহূ খ-শি‘আম্ মুতাছোয়াদ্দি‘আম্ মিন্ খশ্ইয়াতি ল্লা-হ্; অতিল্কাল্ আম্ছা-লু নাদ্ব্রিবুহা-লিন্না-সি লা‘আল্লাহুম্ ইয়াতাফাক্কারূন্।

এ কুরআনকে যদি আমি পাহাড়ের ওপর নাযিল করতাম তবে তুমি অবশ্যই তাকে দেখতে, আল্লাহর ভয়ে বিনীত ও বিদীর্ণ। মানুষের জন্য আমি এ উদাহরণগুলি পেশ করি; হয়ত তারা চিন্তাভাবনা করবে।

هُوَ اللّٰهُ الَّذِیۡ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ۚ عٰلِمُ الۡغَیۡبِ وَ الشَّهَادَۃِ ۚ هُوَ الرَّحۡمٰنُ الرَّحِیۡمُ

হুওয়াল্লা-হু ল্লাযী লা য় ইলা-হা ইল্লা হুওয়া ‘আ-লিমুল্ গইবি অশ্শাহা-দাতি হুওর্য়া রহ্মা-র্নু রহীম্ ।

তিনিই আল্লাহ, যিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই; দৃশ্য- অদৃশ্যের জ্ঞাতা; তিনিই পরম করুণাময়, দয়ালু।

هُوَ اللّٰهُ الَّذِیۡ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ۚ اَلۡمَلِکُ الۡقُدُّوۡسُ السَّلٰمُ الۡمُؤۡمِنُ الۡمُهَیۡمِنُ الۡعَزِیۡزُ الۡجَبَّارُ الۡمُتَکَبِّرُ ؕ سُبۡحٰنَ اللّٰهِ عَمَّا یُشۡرِکُوۡنَ 

হুওয়াল্লা-হুল্ লাযী লা য় ইলা-হা ইল্লা-হুওয়া আল্ মালিকুল্ কুদ্দূসুস্ সালা-মুল্ মুমিনুল্ মুহাইমিনুল্ ‘আযীযুল্ জ্বাব্বা-রুল্ মুতাকার্ব্বি; সুবহা-নাল্লা-হি ‘আম্মা- ইয়ুশ্রিকূন্। 

তিনিই আল্লাহ; যিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনিই বাদশাহ, মহাপবিত্র, ত্রুটিমুক্ত, নিরাপত্তাদানকারী, রক্ষক, মহাপরাক্রমশালী, মহাপ্রতাপশালী, অতীব মহিমান্বিত, তারা যা শরীক করে তা হতে পবিত্র মহান।

هُوَ اللّٰهُ الۡخَالِقُ الۡبَارِئُ الۡمُصَوِّرُ لَهُ الۡاَسۡمَآءُ الۡحُسۡنٰی ؕ یُسَبِّحُ لَهٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ۚ وَ هُوَ الۡعَزِیۡزُ الۡحَکِیۡمُ

হুওয়া ল্লা-হুল্ খ-লিকুল্ বা-রিয়ুল্ মুছোয়াওয়্যিরু লাহুল্ আস্মা-য়ুল হুস্না-; ইয়ুসাব্বিহু লাহূ মা-ফিস্ সামা-ওয়া-তি অল্ র্আদ্বি অহুওয়াল্ ‘আযীযুল্ হাকীম্।

তিনিই আল্লাহ, স্রষ্টা, উদ্ভাবনকর্তা, আকৃতিদানকারী; তাঁর রয়েছে সুন্দর নামসমূহ; আসমান ও যমীনে যা আছে সবই তার মহিমা ঘোষণা করে। তিনি মহাপরাক্রমশারী, প্রজ্ঞাময়।

Next Post Previous Post