হাড় মজবুত করার ১০ টি শক্তিশালী খাবার

হাড় মজবুত করার খাবার

হাড় মজবুত থাকলে শরীরকেও বিভিন্ন অসুখের হাত থেকে প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট একটা বয়সের পর থেকেই হাড়ের ক্ষয় দেখা দেয়। শুধু বয়সজনিত কারণেই নয়, অনিয়মিত লাইফস্টাইল এবং অস্বাস্থ্যকর ডায়েটের ফলে হাড়ের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

হাড় মজবুত করার খাবার

বাদাম  

ব্রেকফাস্টে বা স্ন্যাকস হিসেবে অন্য কোনও খাবার না খেয়ে একমুঠো বাদাম খেতে পারেন। বাদামে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্টস রয়েছে। যা হাড় মজবুত রাখতে সাহায্য করে।

চিজ 

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্যালসিয়ামের ঘাটতির কারণে হাড়ের ক্ষয় দেখা দেয়। বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে। ৩০ বছরের উর্ধ্বের মহিলাদের মধ্যে বিশেষ করে হাড়ের ক্ষয় দেখা দেয়। এই সময়ে ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার খাওয়া খুবই জরুরি। তাই বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন চিজ খাওয়ার। তাদের মতে, চিজ খেতেও সুস্বাদু আবার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারীও। রোজকার খাবারের তালিকায় চিজ রাখলে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হয়।

পালং শাক  

সবুজ শাক-সবজি সবসময়ই শরীরের জন্য উপকারী। তার মধ্যে পালং শাক হাড়ের জন্য খুবই উপকারী। পালং শাকে থাকা ম্যাগনেশিয়াম এবং ভিটামিনকে হাড়ের ক্ষয় রোধ করে বৃদ্ধি ঘটায়। পালং শাক ছাড়া ব্রকোলি এবং বাঁধাকপিও হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।

স্যামন মাছ 

স্যামন বা টুনা মাছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন ডি রয়েছে। রোজকার খাবারের তালিকায় রাখলে হাড় মজবুত থাকবে।

মুরগির মাংস  

হাড় মজবুত রাখার কথা চিন্তা করবেন আর সেই তালিকায় মুরগির মাংস রাখবেন না, তা হয় নাকি! প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে মুরগির মাংসে। হাড় মজবুত করার পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন ঘাটতি পূরণে কার্যকরী চিকেন।

দুধ

শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মিটিয়ে হাড়ের ঘনত্ব বাড়াতে দুধের জুড়ি নেই। তা ছাড়া দুগ্ধজাত অন্যান্য জিনিস যেমন ঘি, ছানা এগুলোও ভাল। তবে আপনি যদি ল্যাকটোজেন ইনটলারেন্ট হন, অর্থাৎ আপনার দুধে অ্যালার্জি থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।

ডিমের কুসুম

ডিমে প্রোটিন থাকে। বিশেষ করে ডিমের সাদা অংশে। কিন্তু যদি আপনার উদ্দেশ্য হয় হাড় মজবুত করা, তাহলে ডিমের কুসুম খাবেন। ডিমের কুসুম ভিটামিন ডি আর ক্যালসিয়াম দু’টোই বৃদ্ধি করে। তবে দুধের মতো আপনার ডিমেও অ্যালার্জি থাকলে একটু সামলে।

মাছ 

টুনা, স্যামন, ট্রাউট এই মাছগুলো হলো ফ্যাটি মাছ। এতে আছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। আর এই মাছে আপনার ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়ামের ঘাটতি অনেকটাই দূর হবে।

শাকসবজি

পাত জুড়ে সবুজ শাকসবজি রাখুন। যাদের দুধ বা ডিমে অ্যালার্জি আছে, তারা নিশ্চিন্তে কেল আর ব্রোকলি খেতে পারেন।

সয়া দুধ বা টফু

দুধে অ্যালার্জি থাকলে খেতে পারবেন সয়া দুধ। সয়া দুধ, টফু বা অন্যান্য সয়া জাতীয় খাদ্য হাড়ের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এগুলো ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ। নিয়মিত এ ধরনের খাবার খেলে হাড় সুস্থ থাকবে।

হাড় মজবুত রাখার জন্য লাইফস্টাইলেও নজর দেওয়া জরুরি বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে তাদের মত, স্বাস্থ্যকর খাবারের পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা করাও খুবই জরুরি। এরই সঙ্গে অত্যধিক ধূমপান কিডনির সমস্যার সঙ্গে হাড়েরও ক্ষতি করে। তাই হাড়ের ক্ষয় দূর করে সুস্থ থাকার জন্য ধূমপান এবং মদ্যপান অবশ্যই ত্যাগ করা দরকার। 

Next Post Previous Post