কাঁচা হলুদ খেলে কি ক্ষতি হয়?

কাঁচা হলুদ খেলে কি ক্ষতি হয়

আমরা জানি প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। সেক্ষেত্রে কাঁচা হলুদ ও নিয়মিত খেলে কিছু ক্ষতি হয়। তবে নিয়ম অনুযায়ী খেলে কিছু হবে না।

কাঁচা হলুদ খেলে কি ক্ষতি হয়

দুর্বল করে দেয়

অনেক মানুষই সুস্বাস্থ্যের জন্যে হলুদ খান। কিন্তু হলুদ বেশি খেলে আসলে শরীরে উল্টো প্রতিক্রিয়া হতে পারে। ন্যাশানাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনের একটি গবেষণায় ধরা পড়েছে যে হলুদ ৩০ থেকে ৯০ শতাংশ আয়রনের শোষণ কমিয়ে দিতে পারে। যদিও এটি মূলত হলুদ খাওয়ার পরিমাণের উপর নির্ভর করে। হলুদের স্টোইচিওমেট্রিক গুণের কারণে আয়রন কম শোষণ হয়। হলুদ খাবার থেকে পাওয়া সমস্ত আয়রনের সঙ্গে জমাট বাঁধে। যার ফলে আয়রনের ঘাটতি এবং অ্যানিমিয়ার মতো অসুস্থতা হতে পারে। সম্ভবত সেই কারণেই সবুজ শাক-সবজিতে হলুদ দেওয়া হয় না। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যানিমিয়ায় ভুগলে বেশি হলুদ খাওয়া উচিত নয়। কারণ এর ফলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা আরও কমে যেতে পারে।

ডায়রিয়া হতে পারে

দুধে, কাড়া কিংবা ভেষজ মিশ্রণে এক চিমটি হলুদ দিলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। পাশাপাশি তা মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। তবে অতিরিক্ত হলুদ খেলে শরীরে তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে। ফলে পেট ফুলে যাওয়া, ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা এবং বমি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার এই কারণেই হলুদ জ্বর, ঠান্ডা বা গলা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

কিডনি স্টোনের ঝুঁকি বাড়ায়

হলুদের মধ্যে থাকা অক্সালেটের জন্যে অতিরিক্ত মাত্রায় এটি খেলে কিডনি স্টোনের ঝুঁকিও বাড়ে। হলুদের সাপ্লিমেন্ট খেলে ইউরিনারি অক্সালেটের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে যা থেকে কিডনি স্টোন হয়।

কতটা খেলে তা বেশি বলে ধরতে হবে?

হলুদে কারকিউমিন নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বেশ কিছু খনিজ পদার্থ রয়েছে, যা স্বাস্থ্য ভালো রাখে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পানীয়, তরকারি বা ঘরোয়া প্রতিকারে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় সব মিলিয়ে এক চা চামচ হলুদ দেওয়া যায়। কিন্তু এর চেয়ে বেশি হলুদ খেলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। ভারতীয় উপমহাদেশের রান্নার প্রেক্ষিতে বললে প্রতিদিন গড়ে খাবারে প্রায় ৬০-১০০ মিলিগ্রাম কারকিউমিন খাওয়া উচিত। 

Next Post Previous Post