মুখে কাঁচা হলুদের আশ্চর্যপ্রদ উপকারিতা

মুখে কাঁচা হলুদের উপকারিতা

মুখে কাঁচা হলুদের উপকারিতা অনেক। কারণ এটি ত্বকের হারানো উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে অত্যন্ত সহায়ক। এটি ত্বকের প্রদাহের সমস্যা দূর করতে উপকারী। ফাইন লাইন এবং বলিরেখার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সহায়ক। মুখের ব্রণ ও ব্রণ দূর করতে সহায়ক।

মুখে কাঁচা হলুদের উপকারিতা

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় 

কাঁচা হলুদের মধ্যে রয়েছে একটি বিশেষ উপাদান কারকিউমিন। এটি কেবল হলুদেই পাওয়া যায়। এটিকে জাদুকরি উপাদান বলা হয়। এটি ত্বকের অধিকাংশ সমস্যা সমাধান করতে পারে। কারকিউমিন রং ফর্সা করে, ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। কারকিউমিন ত্বককে পাতলা করতে কাজ করে। ব্যাকটেরিয়া দূর করে; ভেতর থেকে উজ্জ্বলতা বাড়ায়। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে দুধের সাথে কাঁচা হলুদ মিশিয়ে খেলে, ধীরে ধীরে ত্বকের রঙ ফর্সা হয়। তাছাড়া রক্ত পরিষ্কার করে, ত্বককে ভেতর থেকে সুন্দর করে। তাছাড়া সকালে ঘুম থেকে উঠে কাঁচা হলুদের রস খেলেও সমান উপকারিতা পাওয়া যায়। যারা কাঁচা হলুদ শুধু খেতে পারবেন না, তারা চিনি অথবা গুড় মিশিয়ে নিতে পারেন।

ত্বকের বয়স কমায় 

কাঁচা হলুদ ত্বকের বয়স কমায়। তাই বিভিন্ন ক্রিমের প্রয়োজনীয় উপাদান হিসেবে হলুদ ব্যবহার করা হয়। ত্বকের বিভিন্ন দাগ, রিঙ্কল ও সান ট্যান থেকে ত্বককে রক্ষা করার জন্য কাঁচা হলুদের ফেসপ্যাক ঘরেই তৈরি করে মুখে লাগানো যেতে পারে। হলুদে থাকা কারকিউমিনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণ ত্বককে বয়সের ছাপ থেকে বাঁচায়। ১/৪ চা চামচ হলুদ গুঁড়া, চালের গুঁড়া, টমেটো রস, কাঁচা দুধের সাথে মিশিয়ে মুখে মাস্ক হিসাবে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের ফাইন লাইন্স এবং ঝুলে পড়া ত্বক স্বাভাবিক করতে, ত্বক ফর্সা করতে অত্যন্ত কার্যকরি। অথবা ১ টেবিল চামচ টকদইয়ের সাথে ১/৪ চা চামচ কাঁচা হলুদ বাটা মিশিয়ে পাতলা পেস্ট তৈরি করে সারা মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২-৩ দিন লাগালে ভালো ফল পাওয়া যাবে।

ব্রণ দূর করে 

কাঁচা হলুদের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, এন্টিসেপ্টিক ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ মুখে ব্রণ কমায়। ব্রণ সমস্যার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মুখে নিয়ম করে কাঁচা হলুদ পেস্ট করে মাখুন ও খান, দেখবেন তাড়াতাড়ি উপকার পাচ্ছেন। কাঁচা হলুদ শুধু ব্রণই দূর করে না, তার সাথে ব্রণের দাগ এবং লোমকূপ থেকে তেল বের হওয়ার পরিমাণও কমিয়ে দেয়। কাঁচা হলুদ বাটা, বেসন, কয়েক ফোঁটা লেবুর রস ও পানি মিশিয়ে একটি মাস্ক বানিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

দ্রুত ক্ষত উপশম করে 

কাঁচা হলুদ দ্রুত ত্বকের জারণ ও মানসিক চাপের কারণে হওয়া মলিনভাব দূর করতে পারে। ক্ষতস্থানের ওপর কেবল হলুদ লাগিয়ে রাখলেও তা সারাতে সহায়তা করে। 

বলিরেখা কমায়

বয়সের ছাপ কমাতে সহায়তা করে হলুদ। কারণ এতে আছে কোষকলার মাত্রা বৃদ্ধি ও আর্দ্রতা রক্ষা করার ক্ষমতা। এর মানে হল, হলুদ খুব সহজে বলিরেখা ও ত্বকের ভাঁজ দূর করতে সহায়াত করে।

অতি বেগুনি রশ্মির কারণে হওয়া ক্ষয় থেকে রক্ষা

গবেষণায় দেখা গেছে, কাঁচা হলুদ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করতে সাহয্য করে। কারণ এতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। একারণে ত্বকে হলুদের পেস্ট ব্যবহার করা হলে ঠাণ্ডা ও আরাম অনুভূত হয়। আর রোদের কারণে হওয়া র‌্যাশ ও পোড়াভাব দূর হয়ে যায়। 

ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ রাখে 

ত্বক বিষাক্ত উপাদানের কারণে মলিন ও অস্বস্তিকর হয়ে পড়ে। হলুদ ত্বককে পরিষোধিত করে। ফলে ত্বক হয়ে ওঠে উজ্জ্বল ও মসৃণ।

কালো দাগ কমায়

কাঁচা হলুদ ব্রণের বিরুদ্ধে কাজ করে জ্বলুনি কমায় বিশেষ করে যাদের ত্বক সংবেদনশীল তাদের ত্বকে হলুদ খুব ভালো কাজ করে। হলুদে থাকা কারকিউমিন এমন এক ধরনের এঞ্জাইম যা রোদ ও ‘হাইপার পিগমেন্টেইশন’য়ের কারণে হওয়া কালো দাগ ও পোড়াভাব কমাতে কার্যকর।

Next Post Previous Post