তাহাজ্জুদ নামাজ পড়লে কি হয়?

তাহাজ্জুদ নামাজ পড়লে কি হয়

তাহাজ্জুদ বা রাতের নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। এ নামাজে মুমিনের মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। আল্লাহর একান্ত প্রিয় বান্দা হওয়ার অন্যতম উপায়ও এটি। প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে পাকে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের মাধ্যমে মুমিনের উপকারিতা ও সতর্কতা তুলে ধরেছেন।

শয়তান মানুষের প্রকাশ্য দুশমন। তাই তো বিতাড়িত শয়তান মানুষকে তার সব কৌশল প্রয়োগ করে মুমিন বান্দাকে তাহাজ্জুদ থেকে গাফেল রাখতে সদা সচেষ্ট। সে কারণে প্রকৃত মুমিন বান্দা শয়তানকে চ্যালেঞ্জ করে রাতের আরামকে হারাম করে তাহাজ্জুদের জায়নামাজে রাত কাটিয়ে দেন।

তাহাজ্জুদ নামাজ পড়লে কি হয়

তাহাজ্জুদের মাধ্যমে বান্দার সঙ্গে আল্লাহর সরাসরি সম্পর্ক স্থাপিত হয়। রাতের শেষ প্রহরে আল্লাহ বান্দাদের প্রতি তাদের কাজের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনার আহ্বান জানান।

আবু হুরাইরা (রা.) বর্ণনা করেছেন যে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘প্রতি রাতের শেষ এক-তৃতীয়াংশে আল্লাহ জমিনের কাছাকাছি আসমানে নেমে এসে তাঁর বান্দাদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, কে আছ যে আমার কাছে প্রার্থনা করবে, যাতে আমি তার প্রার্থনার জবাব দিতে পারি? কে আছ যে আমার কাছে কিছু চাইবে, যাতে আমি তাকে তার প্রার্থিত বস্তু দিতে পারি? কে আছ যে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে, যাতে আমি তাকে ক্ষমা করতে পারি?’ (বুখারি ও মুসলিম)

আরও জানুনঃ তাহাজ্জুদ নামাজে কোন সূরা পড়তে হয় এবং গুরুত্ব ও ফযীলত

আল্লাহ যেখানে নিজে বান্দার কাছে প্রার্থনা ও ক্ষমার আহ্বান জানান, সেখানে বান্দার প্রার্থনা ও ক্ষমার আবেদন পূর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা সর্বোচ্চ।

তাহাজ্জুদের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ও নৈকট্য লাভ করেন। দিনের নামাজ আদায় করলে প্রকাশ্য সদকা হয়। আর তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করলে গোপন সদকা হয়। তাহাজ্জুদের নামাজ বান্দাকে শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে মুক্ত রাখতে সক্ষম করে। এ ছাড়া শত্রুর ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তাহাজ্জুদের গুরুত্ব রয়েছে। তাহাজ্জুদ নামাজে রাসুল (সা.)–এর সুন্নতের অনুসরণ তো হয়ই, এতে আত্মারও উন্নয়ন হয়।

Next Post Previous Post