কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য যেসব খাবার খাবেন

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার খাবার

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় কমবেশি অনেকেই ভুগে থাকেন।শিশু থেকে শুরু করে বয়োজ্যেষ্ঠদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয়ে থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্য খুব বেশি মারাত্মক কিছু নয় যদি এর চিকিৎসা খুব দ্রুত করে ফেলা সম্ভব হয়। তা না হলে পাইলস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই সাবধান থাকুন। অনেকে মনে করেন শুধু ওষুধ খেয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা যায়।কিন্তু এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা।যার ফলে আপনি পড়তে পারেন বিপাকে। আর ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া মোটেই ওষুধ খাওয়া ঠিক নয়। এমন কিছু খাবার আছে যা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে। প্রয়োজন পড়বে না ওষুধ খাওয়ার। আসুন জেনে নেই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার খাবার সম্পর্কে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার খাবার

কলমিশাক

কলমিশাক কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।কলমিশাকের পাতা ও কাণ্ডে পর্যাপ্ত পরিমাণে আঁশ থাকে। আঁশ খাদ্য হজম, পরিপাক ও বিপাক ক্রিয়ায় সহায়তা করে। কলমিশাক খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় এবং শরীর সুস্থ থাকে।

কলা

কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা এর পটাশিয়াম বৃহদান্ত্র ও ক্ষুদ্রান্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়ায়।

গাজর

গাজর একটি পরিচিত সবজি যা হাতের কাছেই পাওয়া যায়। অনেকের প্রিয় এই সবজিটি প্রাকৃতিক ডায়াটেরি ফাইবারের বেশ ভালো উৎস। মাত্র আধা ইঞ্চির ৭ খণ্ড গাজরে রয়েছে প্রায় ১.২ গ্রাম ফাইবার। প্রতিদিন গাজর খাওয়ার অভ্যাস কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি মিলবে।

শসা

শসার ডায়াটেরি ফাইবার শসাকে করে তোলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার মহা ঔষধ। কারণ শসার বেশির ভাগ অংশই পানি দিয়ে তৈরি। তাই নিয়মিত শসা খেলে দূর হবে কোষ্ঠকাঠিন্য।

পেয়ারা

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে, ওজন কমাতে পেয়ারার জুরি নেই। তাই যারা পেটের সমস্যায় ভুগছেন তারা পেয়েরা খেতে পারেন।

খেজুর 

খেজুর পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এবং প্রাকৃতিক আঁশে পূর্ণ একটি ফল। এ ছাড়াও, খেজুর মিষ্টি এবং ঠাণ্ডা প্রকৃতির হয়। যারা কোষ্ঠকাঠিন্য, হাইপার এসিডিটি, জয়েন্টে ব্যথা, চুল পড়া বা লো এনার্জিতে ভুগছেন, তাদের জন্য সেরা খাবার হতে পারে খেজুর। প্রতিদিন সকালে খালিপেটে হালকা গরম পানিতে ২-৩টি ভেজানো খেজুর খান। খেজুরে আছে এমন কিছু পুষ্টিগুণ, যা খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে। কখনো কখনো ডায়রিয়ার জন্যও এটা বেশ উপকারী। 

মেথি বীজ 

এক চা চামচ মেথি বীজ সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে খালিপেটে খেতে পারেন। এ ছাড়াও, মেথি বীজ গুড়ো করে নিন। ঘুমানোর আগে এক গ্লাস হালকা গরম পানির সঙ্গে এক চা চামচ মেথির গুড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন। 

ঘি 

গরুর দুধের ঘি মেটাবলিজম উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি শরীরে হেলদি ফ্যাট বজায় রাখতে সাহায্য করে, যা ফ্যাট সলিউবল ভিটামিন, যেমন: ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে-কে শোষণের জন্য প্রয়োজন। এক গ্লাস উষ্ণ গরুর দুধের সঙ্গে এক চা চামচ গরুর ঘি দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য দারুণ কাজ করে। তবে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য ঘি না খাওয়াই উচিত। 

আমলকী 

আমলকী বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান করতে পারে। প্রতিদিন সকালে খালিপেটে আমলকী খেলে দারুণ উপকার পাবেন। এক চা চামচ আমলকীর গুড়ো বা ৩টি তাজা আমলকীর রস খেতে পারেন। 

কিশমিশ 

কিশমিশে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে দারুণ কার্যকর। তবে ভেজানো কিশমিশ খাওয়া ভালো। কারণ, শুকনো খাবার খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। পানিতে ভিজিয়ে রেখে খেলে এগুলো সহজেই হজম হবে। 

Next Post Previous Post