স্বামী বিবেকানন্দের উক্তি
1. “ওঠো , জাগো এবং লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত থেমো না।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
2. “ইচ্ছা শক্তিই জগৎ কে পরিচালনা করে থাকে।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
3. “কোনো বড় কাজই কঠোর পরিশ্রম ও কষ্ট স্বীকার ছাড়া হয় নি।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
4. “সারাদিন চলার পথে যদি কোনো সমস্যার সম্মুখীন না হও, তাহলে বুঝবে তুমি ভুল পথে চলেছ।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
5. “এমন কাজ করে চলো যে তুমি হাসতে হাসতে মরবে আর জগৎ তোমার জন্য কাঁদবে।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
6. “আমি বিশ্বাস করি যে, কেউ কিছু পাওয়ার উপযুক্ত হলে জগতের কোনো শক্তিই তাকে বঞ্চিত করতে পারে না।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
7. “যখন আমাদের মধ্যে অহংকার থাকে না, তখনই আমরা সবথেকে ভালো কাজ করতে পারি, অপরকে আমাদের ভাবে সবচেয়ে বেশি অভিভূত করতে পারি।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
8. “মনের মতো কাজ পেলে অতি মূর্খও করতে পারে। যে সকল কাজকেই মনের মতো করে নিতে পারে, সেই বুদ্ধিমান। কোনো কাজই ছোট নয়।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
9. “কাজ করো নির্ভীকভাবে। এগিয়ে চলো সত্য আর ভালোবাসা নিয়ে।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
10. “যা পারো নিজে করে যাও, কারও ওপর আশা বা ভরসা কোনোটাই কোরো না।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
11. “সাহসী লোকেরাই বড় বড় কাজ করতে পারে।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
12. “উঁচুতে উঠতে হলে তোমার ভেতরের অহংকারকে – বাহিরে টেনে বের করে আনো, এবং হালকা হও … কারণ তারাই ওপরে উঠতে পারে যারা হালকা হয়।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
13. “মস্তিস্ককে উচ্চ মানের চিন্তা-ভাবনা দিয়ে পূর্ণ করো, দিবারাত্র এগুলোকে তোমার সামনে রেখে চলো, এগুলোর থেকে মহান কাজ বেরিয়ে আসবে।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
14. “যে রকম বীজ আমরা বুনি, সে রকমই ফসল আমরা পাই। আমরাই আমাদের ভাগ্য তৈরী করি, তার জন্য কাউকে দোষারোপ করার কিছু নেই, কাউকে প্রশংসা করারও কিছু নেই। ”
– স্বামী বিবেকানন্দ
15. “আমাদের জাতের কোনো ভরসা নেয়, কোনো একটা স্বাধীন চিন্তা – কাহারও মাথায় আসে না , সেই ছেঁড়া কাঁথা নিয়ে টানাটানি।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
16. “যে অপরকে স্বাধীনতা দিতে প্রস্তুত নয়, সে কখনই স্বাধীনতা পাইবার যোগ্য নহে। দাসেরা শক্তি চায় , অপরকে দাস বানিয়ে রাখার জন্য।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
17. “নিজের উপর বিশ্বাস না এলে … ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস আসে না।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
18. “ঘৃণার শক্তি অপেক্ষা প্রেমের শক্তি … অনেক বেশি শক্তিমান।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
19. “জগতে এখন একান্ত প্রয়োজন হল চরিত্র; জগত এখন তাদের চায় – যাদের জীবন প্রেমদীপ্ত ও স্বার্থ শূন্য।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
21. “সেবা করো তাৎপরতার সাথে। দান করো নির্লিপ্ত ভাবে। ভালোবাসো নিঃস্বার্থভাবে। ব্যয় করো বিবেচনার সাথে। তর্ক করো যুক্তির সাথে। কথা বলো সংক্ষেপে।
– স্বামী বিবেকানন্দ
22. “প্রবিত্র ও নিঃস্বার্থ হতে চেষ্টা কোরো, তার মধ্যেই রয়েছে সমস্ত ধর্ম।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
23. “শুধু বড়ো লোক হয়ো না … বড় মানুষ হও।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
24. “কাপুরুষরাই পাপ কাজ করে, মিথ্যা কথা বলে। বীর কখনও পাপ করে না। হে বীর হৃদয় যুবকবৃন্দ – এগিয়ে যাও। লক্ষ লক্ষ মানুষ ক্রমশ ডুবছে, তাদের উদ্ধার করো। মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত – এটাই আমাদের মূলমন্ত্র। ”
– স্বামী বিবেকানন্দ
25. “যারা তোমাকে সাহায্য করেছে, তাদের কখনও ভুলে যেও না। যারা তোমাকে ভালোবাসে, তাদের কখনও ঘৃণা কোরো না। যারা তোমাকে বিশ্বাস করে, তাদের কখনও ঠকিয়ো না।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
26. “আমরা স্ত্রীলোককে নিচ, অধম, মহা হেয়, অপবিত্র বলি। তার ফল – আমরা পশু, দাস, উদ্যমহীন, দরিদ্র।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
27. “মেয়েদের উন্নতি করতে পারো? তবে আশা আছে। নইলে পশু জন্ম ঘুচবে না।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
28. “গোলামীর উপর যে সম্পর্কটা দাঁড়িয়ে আছে, সেটা আবার কখনও ভালো হতে পারে? যেখানে মেয়েদের স্বাধীনতা নেই, সে জাত কখনো উন্নতি করতে পারে না।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
29. “এ দেশের যত আইন কানুন, যত ভালোবাসা, যত স্মৃতি, সমস্ত মেয়েদের দাবিয়ে রাখার জন্য হয়েছে।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
30. “ভারতীয় নারীদের যে রকম হওয়া উচিত, সীতা তার আদর্শ।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
31. “জগতে মায়ের স্থান সকলের উপরে, কারণ মাতৃভাবেই সবচেয়ে বেশি নিঃস্বার্থপরতা শিক্ষা ও প্রয়োগ করা হয়।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
32. “জগতের কল্যাণ স্ত্রী জাতির অভ্যুদয় না হলে সম্ভাবনা নেই। এক পক্ষে পক্ষীর উত্থান সম্ভব নয়।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
33. “পুরুষরা মেয়েদের ভাগ্য গঠনের ভার গ্রহণ করাতেই নারী জাতির যত কিছু অনিষ্ট হয়েছে।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
34. “একথা সত্য যে, এমন সব স্ত্রী লোক আছেন, যাদের দেখা মাত্র মানুষ অনুভব করে – কে যেন তাকে ঈশ্বরের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কিন্তু আবার এমন স্ত্রী লোকও আছে, যারা তাকে নরকের দিকে টেনে নিয়ে যায়।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
35. “বাবা, সতী সতী বলে ঢের চেঁচিয়েছ, বাঁশ দিয়ে হাজার হাজার বিধবা পূড়িয়েছ। একটু ক্ষান্ত হও দেখি, এখন জনাকতক ‘সতা’ হও দেখি – আমি বুঝি।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
36. “নারীদের পাশ্চত্য জ্ঞান ও বিজ্ঞান যেমন শেখাতে হবে, তেমনি জাগাতে হবে ভারতীয় আদর্শ ও ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
37. “আমাদের দেশের মেয়েরা তেমন শিক্ষিতা নয় বটে, কিন্তু তারা অনেক বেশি প্রবিত্র।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
38. “পাঁচশো পুরুষের সাহায্যে ভারতবর্ষকে জয় করতে পঞ্চাশ বছর লাগতে পারে, কিন্তু পাঁচশো নারীর দ্বারা মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তা করা যেতে পারে।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
39. “সেই নারীও ধন্য যার চোখে পুরুষ ভগবানের পিতৃভাবের প্রতীক।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
40. “ভারতের জননীই আদর্শ নারী। মাতৃভাবই আদর্শ ও শেষ কথা।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
41. “যদি সত্যিই মন থেকে কিছু করতে চাও তাহলে পথ পাবে; আর যদি না চাও তাহলে অজুহাত পাবে।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
42. “যখন তুমি ব্যস্ত থাকো তখন সব কিছুই সহজ বলে মনে হয়, কিন্তু অলস হলে কোনো কিছুই সহজ বলে মনে হয় না।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
43. “কখনো না বোলোনা, কখনো বোলোনা আমি করতে পারবোনা। তুমি অনন্ত এবং সব শক্তি তোমার ভিতর আছে , তুমি সব কিছুই করতে পারো।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
44. “একটি সময়ে একটিই কাজ কোরো এবং সেটা করার সময় নিজের সব কিছু তার মধ্যে ব্যয় করে দাও।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
45. “মনের শক্তি সূর্যের কিরণের মত , যখন এটি এক জায়গায় কেন্দ্রীভূত হয় তখনই এটি চকচক করে ওঠে।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
46. “যে মানুষ বলে – তার আর শেখার কিছু নেই সে আসলে মরতে বসেছে। যত দিন বেঁচে আছো – শিখতে থাকো।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
47. “জগতে যদি কিছু পাপ থাকে, তবে দুর্বলতায় সেই পাপ। সকল প্রকার দুর্বলতা ত্যাগ করো – দুর্বলতায় মৃত্যু, দুর্বলতায় পাপ।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
48. “সত্যের জন্য সব কিছুকে ত্যাগ করা চলে, কিন্তু কোনো কিছুর জন্য সত্যকে ত্যাগ করা চলে না।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
49. “এক দিনে বা এক বছরে সফলতার আশা কোরো না। সবসময় শ্রেষ্ঠ আদর্শকে ধরে থাকো।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
50. “আমরা যেন নাম, যশ ও প্রভুত্ব – স্প্রিহা বিসর্জন দিয়া কর্মে ব্রতী হই। আমরা যেন কাম, ক্রোধ, ও লোভের বন্ধন হইতে মুক্ত হই। তাহা হইলেই আমরা সত্য বস্তু লাভ করিব।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
51. “শিক্ষা হচ্ছে মানুষের মধ্যে ইতিমধ্যে থাকা উৎকর্ষের প্রকাশ।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
52. “মানুষের সেবা করা হচ্ছে ঈশ্বরের সেবা করা।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
53. জীবন ও মৃত্যু হচ্ছে একটা ব্যাপারেই বিভিন্ন নাম। একই টাকার এপিঠ ওপিঠ। উভয়েই মায়া। এই অবস্থাটাকে পরিষ্কার করে বোঝাবার জো নেই। এক সময় বাঁচবার চেষ্টা হচ্ছে আবার পর মুহূর্তেই বিনাশ বা মৃত্যুর চেষ্টা।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
54. “আমরা যেন নাম, যশ ও প্রভুত্ব – স্প্রিহা বিসর্জন দিয়া কর্মে ব্রতী হয়। আমরা যেন কাম, ক্রোধ ও লোভের বন্ধন হইতে মুক্ত হয়। তাহা হইলেই আমরা সত্য বস্তু লাভ করব।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
55. “যতক্ষণ পর্যন্ত আমার দেশের একটি কুকুরও ক্ষুধার্ত, আমার সমগ্র ধর্মকে একে খাওয়াতে হবে এবং এর সেবা করতে হবে, তা না করে অন্য যাই করা হোক না কেন তার সবই অধার্মিক।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
56. “ধর্ম হচ্ছে মানুষের মধ্যে ইতোমধ্যে থাকা দেবত্বের প্রকাশ।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
57. “আমরা যা এবং ভবিষ্যতে আমরা যা হবো, তার জন্য আমরাই দায়ী। আমাদের নিজেদের মধ্যে শক্তি আছে, আমাদের নিজেদের তৈরী করার জন্য। আমরা এখন যা হয়েছি তা আমাদের অতীতের কর্মের ফল, আমরা ভবিষতে যা হবো তা আমাদের বর্তমানের কাজেরই ফল হবে। সুতরাং আমাদের জানতে হবে কিভাবে আমরা আমাদের কাজগুলো করব। ”
– স্বামী বিবেকানন্দ
58. “শেখার জন্য এটাই হল প্রথম শিক্ষা – দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হও যে বাইরের কোনো কিছুকে অভিশাপ দেবে না, বাইরের কাউকে দোষ দেবে না, কিন্তু উঠে দাড়াও – নিজেকে দোষ দাও, তুমি বুঝতে পারবে – নিজেকে ধরে রাখার জন্য এটাই হল সঠিক পন্থা।”
– স্বামী বিবেকানন্দ
59. “পেছনে তাকিও না, শুধু সামনের দিকে তাকাও – অসীম শক্তি, অসীম উদ্দম, অসীম সাহস এবং অসীম ধৈর্য – এরা একাই পারে মহান কোনো কর্ম সম্পন্ন করতে।”
– স্বামী বিবেকানন্দ