আদার উপকারিতা, পুষ্টিগুণ, ব্যবহার, এবং অপকারিতা

 

Benefits of Ginger


আমার বেশিরভাগ খাবারেই আদা ব্যবহার করে থাকি। আর আদার উপকারিতা অপরিসীম। আদায় রয়েছে পটাশিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম, জিংক, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম, আয়রন, ভিটামিন এ এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট যা আমাদের শরীরের জন্য অতন্ত্য জরুরি। আদার উপকারিতার সম্পর্কে যতোই বলা হয় না কেন সেটা আসলে অনেক কম হয়ে যায়। 

আমাদের ছোটবেলায় যখন সর্দি কাশি বা গলা ব্যাথা করতো তখন আমাদের বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষেরা আমাদেরকে আদা খেতে দিতো। তারা সবসময় বলে থাকতো আদা সর্দি কাশি বা গলা ব্যাথার জন্য খুবই উপকারী। আদার চাও গলার জন্য বেশ উপকারী। আজকের এই আলোচনায় আমরা আপনাদের সাথে আদার যতো উপকারিতা আছে তা নিয়ে বিস্তারিত বলবো। তার সাথে আমরা আদার পুষ্টিগুণ, অপকারিতা এবং আদা খাওয়ার সবচেয়ে ভালো নিয়ম নিয়েও আলোচনা করবো। 

আদার উপকারিতা 

আদা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় 

আমরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অনেক খাবার খেয়ে থাকি। কিন্তু কোন খাবার কেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে সে বিষয়ে আমরা অনেকেই জানি না। এক্ষেত্রে আদা ব্যাতিক্রম। কারণ আদার মধ্যে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় আমাদের শরীরের সাধারণ যে ভাইরাস জনিত জ্বর, সর্দি হতো আদা নিয়মিত খাওয়ার ফলে তা আর হবে না। আদা ঠান্ডা-সর্দি জনিত রোগের জন্য দায়ী যে রাইনো ভাইরাস তা দমনের  জন্য শক্তিশালী উপাদান। তাই নিয়মিত আদা খেলে ভাইরাস জনিত সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভবনা অনেক কমে যায়। আর এই সমস্যা গুলো কমে গেলেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেড়ে যাবে। 

আদা আর্থ্রাইটিসের ব্যাথা দূর করতে সাহায্য করে 

আদাতে রয়েছে জিঞ্জারোল নামক একটি উপাদান যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন জোড়াগুলোতে সৃষ্ট ব্যাথা এবং আর্থ্রাইটিসে আক্রান্তদের প্রদাহ সহজে দূর করে দেয়। এই জিঞ্জারোল একটি প্রদাহরোধী উপাদান। এটি প্রদাহজনক সাইটোকিন গঠন প্রক্রিয়াকে দমন করতে পারে। আর্থ্রাইটিস অ্যান্ড রিউম্যাটোলজি তাদের এক গবেষণায় দেখিয়েছে যে, হাটুর অস্ট্রিওআর্থ্রাইটিসের লক্ষ্মণগুলোকে ব্যাপকহারে কমিয়ে দিতে পারে আদা।

আদা মাংসপেশির ব্যাথা লাঘব করে

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে আদা একটি প্রাকৃতিক ব্যাথা উপশমকারী। এবং প্রদাহরোধী উপাদান হিসেবেও আদা কাজ করে। তাই যারা জিম করেন তাদের জন্য আদা বেশ উপকারী। তার কারণ হলো জিমে গিয়ে ভারী ব্যায়াম করার ফলে আপনার মাংসপেশিতে প্রচুর ব্যাথা হতে পারে, তাই জিমে যাওয়ার আগে যদি আদা খেয়ে নেন তাহলে আপনার শরীরে আর এই ব্যাথা থাকবে না। জার্নাল অফ পেইনের মতে যারা প্রতিদিন ২ গ্রাম করে আদা খেয়ে থাকে তাদের ভারী কাজ করার পরও মাংসপেশিতে কোন ব্যাথা অনুভূত হয় না। তাই এটা বলাই যায় মাংসপেশির ব্যাথা নিরসনের জন্য আদা ওষুধের চেয়ে বেশি কার্যকরী। 


আদা পেটফাঁপা দূর করে

আমার জানি আদা বমিরোধী খাবার। তাই যাদের খাবার খাওয়ার পর বমি বমি ভাব লাগে তারা খাবার খেয়েই আদা খেয়ে নিবেন। তাহলে আপনার পাকস্থলীরও অনেক উপকার হবে। আর আদা আপনার হজমশক্তিকে বৃদ্ধি করবে এবং আপনাকে কষ্টকর এবং অস্বস্তিকর পেট ফাঁপা থেকে মুক্তি দিবে। আর আদায় বায়ুনাশক উপাদান থাকায় পাচক রস এবং হজম প্রক্রিয়ার উদ্দীপনা বৃদ্ধি পায়। তার পাশাপাশি আদাতে রয়েছে জিনজিয়াবিন এনজাইম যা প্রোটিন ভাঙ্গতে সহায়তা করে। 

আদা নারীদের ঋতুস্রাবকালীন ব্যাথা লাঘব করে 

নারীদের ঋতুস্রাব চলাকালীন সময়ে প্রচুর ব্যাথা অনুভূত হয়। আর এই ব্যাথা দূর করার জন্য আদা দারুন ভূমিকা পালন করে। জার্নাল অফ অল্টারনেটিভ অ্যান্ড কমপ্লিমেন্টারি মেডিসিনের মতে, ঋতুস্রাবকালীন ব্যাথা উপশমের ক্ষেত্রে আদা ইবুপ্রোফেন ওষুধের মতোই কার্যকারী। তাই ঋতুস্রাব চলাকালীন সময়ে আদা চিবিয়ে অথবা রস করে খান। 

আদা মাইগ্রেনের ব্যাথা দূর করে 

আমাদের শরীরের মধ্যে যতো রকমের ব্যাথা হয় তার মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক আকারের ব্যাথা হলো মাইগ্রেনর ব্যাথা। আর আদায় রয়েছে প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন সংশ্লেষণ দমনের ক্ষমতা। যা আমাদের রক্তের শিরা-উপশিরাগুলোকে স্ফীত হওয়া এবং চাপ সৃষ্টি করা থেকে বিরত রাখে। বিভিন্ন গবেষণার রিপোর্টে এটি উঠে এসেছে যে, আদা মাইগ্রেনের ব্যাথার চিকিৎসায় ওষুধের মতো কার্যকরী। তাছাড়া আদা বমির উদ্রেককারী পাকস্থলীর মোচড়ানোও দূর করতে পারে। যা থেকে অনেক সময় মাইগ্রেনের ব্যাথার উৎপত্তি হয়। তাই মাইগ্রেনের ব্যাথা দূর করতে হলে আপনাকে নিয়মিত আদা খেতে হবে। 

আদা স্মৃতি শক্তি সংরক্ষণ করতে পারে 

আদা মস্তিষ্ককে আলঝেইমার থেকে রক্ষা করে। আর এই স্নায়ুক্ষয়ী রোগটি সৃষ্টি হয় মস্তিষ্কের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় অ্যামিলয়েড প্রোটিন জমা হওয়ার কারণে। আর আদা এই স্নায়ুক্ষয়ী প্রোটিন থেকে মস্তিষ্কের কোষগুলোকে প্রতিরক্ষা দিতে সক্ষম। এভাবে আদা আলঝেইমার রোগ থেকেও আপনাকে মুক্তি দিতে পারে। তাই স্মৃতি শক্তি বাড়াতে হলে আপনাকে নিয়মিত আদা খেতে হবে। 


আদা সর্দি কাশি থেকে মুক্তি দেয় 

আদায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। আদা বিভিন্ন ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া থেকে আমাদেরকে রক্ষা করে। যখন আমাদের সর্দি কাশি কিংবা গলাব্যাথা করে তখনি যদি আদা খাওয়া যায় সাথে সাথে এগুলো কমে যায়। তাই সর্দি কাশি হলেই আদা চিবিয়ে না হলে চায়ের মধ্যে দিয়ে খেয়ে ফেলবেন।তাহলে সর্দি কাশি থেকে সহজেই মুক্তি পাবেন। 

আদা হজমের সমস্যা দূর করে

যাদের বদহজমের সমস্যা আছে তারা পেটের উপরিভাগে ব্যাথা, মুখের মধ্যে টক ভাব, ক্ষুধামন্দা ভাব এগুলো লক্ষ করে থাকেন। যখনি এগুলো দেখা দিবে তখুনি আদা খেয়ে নিবেন। কারণ আদা আমাদের পেটের আম্লিকভাব কমায়, যার জন্য প্রদাহ কমে যায়। এছাড়া আদা উৎসেচক গুলোর নিঃসরণ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। যার ফলে আপনার বদহজমের সমস্যা দূর হয়। তাই নিয়মিত আদা খেলে আপনার হজমের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। 

আদা বমি ভাব নিয়ন্ত্রণ করতে পারে 

আমরা অনেকেই সকালে ঘুম থেকে উঠেই বমি বমি অনুভব করি। অনেক সময় মনে হয় এই বুঝি বমি হয়ে যাবে। এই বিষয়টিকে বলা হয় মর্নিং সিকনেস। তাছাড়া অপারেশন বা কেমোথেরাপির পরে আমরা অনেকেই আছি যে, বমি বমি ভাব হয়। এই সমস্ত বমি বমি ভাবকে দূর করতে হলে আপনাকে নিয়মিত আদা খেতে হবে। যখনি আপনার বমি বমি ভাব হবে তখনি সামান্য পরিমাণে আদার রস খেলে আপনার আর বমি বমি ভাব অনুভূত হবে না। আর যাদের বাসে উঠলে বা যে কোনো গাড়িতে উঠলে বমি পায় তারা ব্যাগের মধ্যে আদা রাখবেন, যখনি বমি পাবে তখুনি আদা খেয়ে নিবেন। 

আদা ওজন কমাতে সাহায্য করে 

আমরা সকলেই জানি যে, বিএমই একটি ওজন পরিমাপক যন্ত্র। বিএমই অনুযায়ী একজন সাধারণ মানুষের বিএমইের মান থাকবে ১৮.৫ থেকে ২৫ এর মধ্যে। আর আদা বিএমই(BMI) কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে সক্ষম। আদায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। বিভিন্ন গবেষণার রিপোর্টে এটি উঠে এসেছে যে, একজন স্থুলকায় মানুষ যদি আদা খান, তাদের পেট বেশি ভর্তি মনে হয়। য়ার ফলে ক্যালোরি ইনটেক কম হয়। আর ক্যালোরি ইনটেক হলেই ওজন কমাতে থাকে। 

আদা হৃদরোগ কমাতে সাহায্য করে 

আমাদের শরীরের মধ্যে LDL (Low density lipoprotein) নামক ক্ষতিকর একটি কোলেস্টেরল থাকে। এই ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে গেলে করোনারি আর্টারিতে অ্যাথেরোস্কলেরোসিস নামক একটি সমস্যা তৈরি হয়। আর আদা এই LDL এর পরিমাপ কমিয়ে দিতে পারে, যার ফলে হৃদরোগের সমস্যা অনেকটা দূর হয়ে যায়। তাই নিয়মিত আদা খেতে থাকুন। 

আদা ক্যানসার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে 

কাঁচা আদায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে এবং জিনজেরল নামক এক ধরনের উপাদান প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান থাকে। এই জিনজেরল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যানসার রোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে আদা গ্যাস্ট্রো-ইনটেস্টাইনাল ক্যান্সার এবং কিছু ক্ষেত্রে স্তন ক্যান্সার ও ওভারির ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। 


আদা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে 

নিয়মিত আদা খাওয়ার ফলে আস্তে আস্তে আপনার মস্তিষ্কের কার্যকরিতা বৃদ্ধি পাবে। বিভিন্ন গবেষণার রিপোর্টে এটি উঠে এসেছে যে, আদার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও বায়োঅ্যাক্টিভ যৌগগুলি মস্তিষ্কের প্রদাহজনিত কারণে স্মৃতিহ্রাসে বাধা দেয়। যার ফলে আপনার মস্তিষ্কের কার্যকরিতা বৃদ্ধি পায়। 

আদার পুষ্টিগুণ 

এক টেবিল চামচ আদায় যে পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছেঃ
  • ক্যালরিঃ ৪.৮
  • কার্বোহাইড্রেটঃ ১.০৭ গ্রাম
  • ডাইটেরি ফাইবারঃ ০.১২ গ্রাম
  • প্রোটিনঃ ০.১১ গ্রাম
  • ফ্যাটঃ ০.৫ গ্রাম
  • সুগারঃ ০.১ গ্রাম
  • ভিটামিন-বি৩
  • ভিটামিন-বি৬
  • আয়রন 
  • পটাশিয়াম 
  • ভিটামিন-সি
  • ম্যাগনেসিয়াম
  • ফসফরাস 
  • জিংক 
  • ফলেট
  • রিবোফ্লাভিন 
  • নিয়াকিন
আদা খাওয়ার নিয়ম 

আমরা সাধারণত রান্নায় আদা খেয়ে থাকি। রান্নায় আদা খেলে যে উপকার হয় তারচেয়ে বহুগুণ উপকার হয় আদা রান্না করা ছাড়া খেলে। আদা আমরা বিভিন্ন উপায়ে খেতে পারি। এখন আমারা আদা খাওয়ার যতো উপায় তার সবগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। 

গরম চায়ের মধ্যে আদার রস খেতে পারেন 

সাধারণত আমরা শীতের সময় আদার চা বেশি খেতে পছন্দ করি। এটি কেবল শরীর গরম রাখতেই নয়, এটি পেটের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। তাই সকালে যদি এক কাপ আদার চা খেয়ে নেন তাহলে আপনার বমি বমি ভাব, মাথা ব্যাথা কিংবা শরীরের দুর্বলতা থাকবে না। চা করার সময় ফুটন্ত পানিতে অল্প আদার রস দিন। তার সাথে আপনি লেবুর রসও দিতে পারেন। এভাবে চা বানিয়ে আপনি নিয়মিত খেলে আপনার শীতকালীন টনিক দূর হবে। আর আমরা আদার চাকে কাশির সিরাপও বলতে পারি।

স্যুপের সাথে আদা খেতে পারেন 

স্যুপ স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। তার সাথে স্যুপ অনেক সুস্বাদু খাবারও বটে। তাই অনেকে স্যুপ খেতে খুবই পছন্দ করে থাকেন। আপনি চাইলেই আদা স্যুপের সাথে খেতে পারেন। তার জন্য আপনাকে গাজর, মিষ্টি আলুর সঙ্গে বেশি করে আদা দিয়ে স্যুপ রান্না করতে হবে। আর স্যুপটাকে একটু বেশি স্পাইসি করার জন্য ক্রিম যোগ করতে পারেন।

মাছের সাথে আদা খেতে পারেন 

আদা যেহেতু রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং পেশির ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে তাই নিয়মিত মাছের সাথে আদা খেতে পারেন। তাই যখনি মাছ রান্না করবেন তখনি অল্প হলেও আদা দিয়ে দিবেন।

আদার সিরাপ তৈরি করে খেতে পারেন 

আদার সিরাপ সর্দি কাশির জন্য বেশ উপকারী। আর আপনি বাড়িতে বসেই এই সিরাপ তৈরি করতে পারবেন। 

সিরাপ তৈরি করতে যে উপকরণ লাগবেঃ
  • একটি আদার চারভাগের এক ভাগ নিন
  • এক কাপ পানি নিন
  • এক কাপ চিনি নিন
কার্যপদ্ধতি 

উপকরণগুলো একসঙ্গে মিশিয়ে অন্তত ৩০ মিনিট পানিতে ফোটান। তারপর মিশ্রণটি ছাঁকনির মাধ্যমে ছেঁকে নিন। এভাবেই তৈরি হয়ে যাবে আপনার আদার সিরাপ। 

আদা, লেবু এবং মধু একসাথে খেতে পারেন 

আদা, লেবু ও মধু এক সাথে মিশিয়ে খেলে আপনি অনেক বেশি উপকার পাবেন। এভাবে খেলে আপনার ওজন কমে যাবে এবং আপনার শরীর সবসময় ফিট থাকবে। তাই আদা, লেবু ও মধু এক সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খেতে পারেন। 

মিষ্ট খাবারের সাথে আদা খেতে পারেন 

বিভিন্ন খাবারের সাথে আদা মিশিয়ে খেতে পারেন। তবে খাবার গুলো হতে হবে মিষ্টি। তাহলে আদার কোনো ঝাঁঝ আপনার খারাপ লাগবে না। মিষ্টি খাবারের মধ্যে পরে কুমড়োর তরকারি। কুমড়োর তরকারির সাথে আদা খেতে পারেন এতে দারুণ উপকার পাবেন। 

আদার অপকারিতা 

আদার স্বাস্থ্যগুন অনেক তবে কিছু অপকারিতাও রয়েছে আদায়। এখন আমারা আদার অপকারিতা নিয়ে জানবো। 

গর্ভাবস্থায় আদা বিপদজনক হতে পারে 

আদা শরীরের জন্য কড়া উদ্দীপক হিসাবে কাজ করে। তাই যারা গর্ভবতী তারা আদা খেলে তাদের শিশু প্রিম্যাচিওর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই গর্ভাবস্থায় আদা খাওয়া উচিত না। বিশেষ করে প্রেগন্যান্সির শেষ সপ্তাহে আদা খাওয়া একেবারেই উচিত না। 

ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে যারা ওষুধ খান তারা আদা খাবেন না। যদিও আদা ডায়াবেটিসের লেভেল কমাতে কার্যকর কিন্তু যারা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য ওষুধ খান তারা আদা খাবেন না। ঠিক একই কথা বলা চলে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য। উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ খেলে আদা খাবেন না। 

Next Post Previous Post