কাঠ বাদামের উপকারিতা, পুষ্টিগুণ, এবং অপকারিতা

 

কাঠ বাদামের উপকারিতা

কাঠ বাদামের অনেক রকমের উপকারিতা রয়েছে কিন্তু এটির যে উপকারিতাটি সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়, সেটি হলো কাঠ বাদাম আমাদের মস্তিষ্ককে অনেক ভালো রাখে। এক কথায় বলা যায় এটি মস্তিষ্ককে ভালো রাখতে কাজ করে যায়। 

কাঠ বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ই এবং পটাসিয়াম যা আমাদের স্মৃতি শক্তি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই সকালে যখনি ঘুম থেকে উঠবেন তখুনি কিছু কাঠ বাদাম খেয়ে নিন তাহলে সারাদিন আপনার শরীর টা তাজা তাজা মনে হবে। আর শরীরে ভালো শক্তিও পাবেন। 

কাঠ বাদামের আরও কিছু অভাবনীয় উপকারিতার কথা আমরা জানি। যেমন কাঠ বাদাম ওজন কমাতে সাহায্য করে। আমাদের শরীরের ফোলাভাব কমায়। যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে। এখন আমরা কাঠ বাদামের উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। 

কাঠ বাদামের উপকারিতা 

কাঠ বাদাম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় 

আমরা সবাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অনেক খাবার খেয়ে থাকি। কাঠ বাদাম তেমনি একটি খাবার যেটি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তার কারণ হলো কাঠ বাদাম হলো অ্যালকেলাইন সমৃদ্ধ খাবার। আর অ্যালকেলাইন আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে। কাঠ বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ই আর তার পাশাপাশি রয়েছে অনেক শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। কাঠ বাদামে থাকা এই সমস্ত উপাদান গুলো আমাদের দেহকে অনেক রোগ থেকে সুরক্ষা দেয়। আর দেহের এই সুরক্ষা বলই এই দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

কাঠ বাদাম ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় 

ত্বকের যত্নে কাঠ বাদামের কোনো জুড়ি নেই। কাঠ বাদাম আপনি খেলে যে উপকার পাবেন ঠিক তেমনি উপকার পাবেন কাঠ বাদামের তেল আপনার ত্বকে ব্যবহার করলে। ত্বকে কাঠ বাদামের তেল ব্যবহার করার ফলে ত্বকের মধ্যে কোনো বলিরেখা দেখা যায় না, ত্বকের উজ্জ্বলতা প্রাকৃতিক ভাবেই বহুগুণ বেড়ে যায়। প্রতিদিন কাঠ বাদাম খেলে অথবা মুখের মধ্যে লাগালে ত্বক আস্তে আস্তে চির নতুন অবস্থায় দেখা যায়। তাছাড়া আপনি চাইলে কাঠ বাদাম পানিতে ভিজিয়ে রেখে বেঁটে নিয়ে যদি মুখের মধ্যে মেখে নেন, তাহলে এটি প্রাকৃতিক ক্রিমের মতো কাজ করে। আবার যাদের ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, তারা নিয়মিত কাঠ বাদাম খেলে তাদের আর এই সমস্যা টি থাকবে না। 

কাঠ বাদাম প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে 

কাঠ বাদামে থাকা ফ্যাটি এসিড আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। কিন্তু আমাদের শরীর কোনো ফ্যাটি এসিড তৈরি করতে পারে না, তাই আমাদেরকে বিভিন্ন খাদ্য থেকে শরীরের এই ফ্যাটি এসিডের চাহিদা পূরণ করতে হয়। আর আমরা জানি যে, কাঠ বাদামের মধ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ লিনোলিয়েক ফ্যাটি এসিড থাকে। যা আমাদের শরীরের ফ্যাটি এসিডের চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। 

কাঠ বাদাম ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ বলয় তৈরি করে

ভিজিয়ে রাখা কাঠ বাদাম প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-১৭ সরবরাহ করে যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে রীতিমতো যুদ্ধ করতে পারে। যাদের ক্যান্সার আছ তারা নিয়মিত সকালে কাঠ বাদাম খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরের মধ্যে থাকা ক্যান্সার তাড়াতাড়ি ছড়াতে পারবে না। আবার যাদের কোলন ক্যান্সার আছে, তাড়াও নিয়মিত কাঠ বাদাম খেতে পারেন কারণ কাঠ বাদাম কোলনকে ভালো রাখতে সহায়তা করে। 

কাঠ বাদাম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে 

ডায়াবেটিস রোগীরা যখন খাবার খাওয়া শেষ করেন, তখনি তাদের রক্তে গ্লুকোজ আর ইনসুলিনের মাত্রা বেড়ে যায়। আর এই মাত্রা গুলো যাতে না বাড়তে পারে তাই প্রতিদিন কাঠ বাদাম খেতে হবে। কাঠ বাদাম রক্তের মধ্যে চিনির প্রভাব কমিয়ে দেয়। তাই যখনি চিনি যুক্ত কোনো খাবার খাবেন, তার সাথে সাথে কিছু কাঠ বাদামও খেয়ে নিবেন। আর এই কাঠ বাদাম গ্লুকোজের সামগ্রিক প্রক্রিয়া ও শোষণকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। 

কাঠ বাদাম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে 

কাঠ বাদাম উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের জন্য অনেক উপকারী। তার কারণ হলো কাঠ বাদামের মধ্যে থাকে খুবই অল্প পরিমাণে সোডিয়াম আর পটাশিয়াম যা উচ্চ রক্তচাপ সমস্যার সমাধানের জন্য ভালো ভূমিকা রাখে। তাছাড়া কাঠ বাদামের মধ্যে থাকা ম্যাগনেশিয়াম ও ফলিক এসিড রক্ত জমাট বাঁধার সম্ভাবনা একেবারেই কমিয়ে দেয়।  

কাঠ বাদাম দাঁত ও হাড় ভালো রাখতে সহায়তা করে 

কাঠ বাদামের মধ্যে রয়েছে ফসফরাস, মিনারেল, এবং ভিটামিন যা আমাদের দাঁত ও হাড়কে ভালো রাখতে সহায়তা করে। ফসফরাস কেবল মাত্র হাড়কে বা দাঁতকে মজবুত করে না, এটি হাড়রের ক্ষয় রোধ করতেও অনেক সাহায্য করে থাকে। দাঁত ও হাড়ের সুস্বাস্থ্য ও স্থায়িত্বের ওপর ফসফরাসের প্রভাব অপরিসীম। বয়স জনিত কারণে দাঁত ও হাড়ের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে ফসফরাস সমৃদ্ধ খাবার বেশি বেশি খেতে হবে। আর কাঠ বাদামের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস যা আপনার দাঁত ও হাড়ের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। 

কাঠ বাদাম ব্রেইনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে 

কাঠ বাদামের যতো উপকারিতা রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত উপকারিতা হলো ব্রেইনের উপকারিতা। কাঠ বাদামের মধ্যে থাকা নানা ধরনের পুষ্টিগুণ যা আমাদের ব্রেনকে অনেক ভালো রাখতে সহায়তা করে। কাঠ বাদামের মধ্যে থাকে রিবোফ্লাভিন ও এল-ক্যারনিটিন। আর এই দুটি উপদান আমাদের মস্তিষ্কের কার্যকরীতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন সকালে চার পাঁচটি কাঠ বাদাম পানিতে মিশিয়ে খেতে থাকুন। তারপর আস্তে আস্তে আপনার মস্তিষ্কের কার্যকরী ক্ষমতা বৃদ্ধি পেল কি না আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন। শিশুদেরকেও এভাবে প্রতিদিন খেতে দিন। 

কাঠ বাদাম গর্ভাবস্থায় অনেক উপকার করে 

একজন গর্ভবতী নারী যখন কাঠ বাদাম খাবেন তখন কেবল তার উপকারেই হবে না তার বাচ্চার ও প্রচুর পরিমাণে উপকার হবে। কারণ কাঠ বাদামের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফলিক এসিড। যা একজন নবজাতকের জন্ম সমস্যা হ্রাসেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নবজাতক শিশুর জন্য যে কোনো ধরনের জন্মগত ত্রুটি বিচ্যুতি প্রতিরোধের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কাঠ বাদাম টিস্যু গঠন ও কোষ বৃদ্ধিতেও অনেক সহায়তা করে থাকে। 

কাঠ বাদাম কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে 

আমাদের শরীরের মধ্যে খারাপ কলেস্টেরলের মাত্রা কমানো ও ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধির জন্য কাঠ বাদাম হৃদপিণ্ডকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা প্রতিদিন একটি করে কাঠ বাদাম খেয়ে থাকেন তাদের কোলেস্টেরল কমেছে ৪.৪% আর যারা দুইটি করে কাঠ বাদাম খেয়েছেন তাদের কোলেস্টেরল কমেছে ৯.৪%। তাই প্রতিদিন অল্প হলেও কাঠ বাদাম খান তাহলে আপনার শরীরের মধ্যে কোলেস্টেরল জনিত কোন সমস্যা থাকবে না। 

কাঠ বাদাম ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে 

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছি যে, ওজন নিয়ে খুবই চিন্তায় থাকি। আপনি যদি তাড়াতাড়ি ওজন কমাতে চান তাহলে কাঠ বাদাম হতে পারে আপনার জন্য আদর্শ খাবার। কারণ হলো কাঠ বাদামের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। তাই যদি খালিপেট কিছু কাঠ বাদাম খেয়ে নেন তাহলে আপনার বেশি ক্ষুধা লাগবে না। আর বেশি না খেলেই আস্তে আস্তে আপনার ওজন কমে যাবে। 

কাঠ বাদাম পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে

বিভিন্ন গবেষণার রিপোর্টে এটি উঠে এসেছে যে, কাঠ বাদাম পুরুষের শুক্রাণুর পরিমাণ এবং গুনগত মান দুটিই বৃদ্ধি করে। তাই যদি প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চান তাহলে প্রতিদিন কিছু কিছু কাঠ বাদাম খেতে পারেন। 

কাঠ বাদাম শরীরের এনার্জি বাড়ায় 

কাঠ বাদামের মধ্যে রয়েছে ম্যানগানিজ, কপার ও রিবোফ্লাভিন। যা আমাদের শরীরের মেটাবলিজমের হার বাড়ায়ে এনার্জি বৃদ্ধি করে। তাই আপনার কাজের যতোই ব্যস্থতা থাকুক না কেন আপনি যদি নিয়মিত কাঠ বাদাম খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরের মধ্যে ক্লান্তি আসবে না। আপনি শরীরের মধ্যে আলাদা একটা শক্তি পাবেন। আর কাঠ বাদাম কিন্তু বিপাক প্রক্রিয়াকেও অনেক সহজ হতে সাহায্য করে। 

কাঠ বাদাম হার্টের জন্য ভালো 

হার্ট ভালো রাখতে হলে আপনাকে নিয়মিত কাঠ বাদাম খেতে হবে। তার কারণ হলো কাঠ বাদামের মধ্যে থাকা প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও অন্যান্য আরও উপাদান যা হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। কাঠ বাদামের মধ্যে থাকা ভিটামিন ই হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং ম্যাগনেশিয়াম হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিভিন্ন গবেষণার রিপোর্টে এটি উঠে এসেছে যে, যারা নিয়মিত কাঠ বাদাম খেয়ে থাকেন তাদের হার্ট অ্যাটাক এর সম্ভবনা ৫০% কমে যায়। 

কাঠ বাদাম বয়স বৃদ্ধি রোধ করতে পারে 

কাঠ বাদাম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। যার ফলে আপনি যদি কিছু কাঠ বাদাম প্রতিদিন পানিতে ভিজিয়ে খেতে পারেন তাহলে এই ভেজা কাঠ বাদাম গুলো আপনার শরীরের ভেতরে প্রবেশ করে ফ্রি রেডিকেল বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যার ফলে আপনার বয়স বৃদ্ধি পেলেও সেই ছাপ আপনার মধ্যে দেখা যাবে না। 

কাঠ বাদাম হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে 

যাদের হজম জনিত সমস্যা আছে তারা নিয়মিত কাঠ বাদাম খেতে পারেন। কেননা কাঠ বাদামের মধ্যে যে খোসা থাকে, তা তৈরি হয় এক ধরনের উৎসেচক দিয়ে। তার জন্য আপনি যখনি কাঠ বাদাম পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন তখনি কাঠ বাদামের ভেতরের আদ্রতার জন্য বাদামের খোসা নরম হয়ে যায়। আর যখনি এই ভেজা কাঠ বাদাম আপনি খেয়ে নিবেন তখনি আপনার অন্যান্য খাবারের মধ্যে থাকা ফ্যাট এবং জটিল সব উপাদান সহজেই হজম হয়ে যাবে।

কাঠ বাদামের পুষ্টিগুণ

কাঠ বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ। কাঠ বাদাম যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। কাঠ বাদামের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন-ই, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, জিংক, কপার, সেলেনিয়াম, আয়রন ও ম্যাগনেসিয়াম। তাছাড়া রয়েছে ভিটামিন-বি, ডি, এবং উপকারী ফ্যাট।

১০০ গ্রাম কাঠ বাদামের পুষ্টিগুণঃ

  • ক্যালরিঃ ৫৭৮
  • কার্বোহাইড্রেটঃ ২০ গ্রাম
  • আঁশঃ ১২ গ্রাম
  • ফ্যাটঃ ৫১ গ্রাম
  • প্রোটিনঃ ২২ গ্রাম
  • থায়ামিনঃ ০.২৪ মিলিগ্রাম 
  • রাইবোফ্লেভিনঃ ০.৮ মিলিগ্রাম 
  • নিয়াসিনঃ ৪ মিলিগ্রাম 
  • প্যান্টোথেনিক অ্যাসিডঃ ০.৩ মিলিগ্রাম 
  • ভিটামিন-বি৬ঃ ০.১৩ মিলিগ্রাম 
  • ভিটামিন-ইঃ ২৬.২২ মিলিগ্রাম 
  • ক্যালসিয়ামঃ ২৪৮ মিলিগ্রাম 
  • আয়রনঃ ৪ মিলিগ্রাম 
  • ম্যাগনেসিয়ামঃ ২৭৫ মিলিগ্রাম 
  • ফসফরাসঃ ৪৭৪ মিলিগ্রাম 
  • পটাশিয়ামঃ ৭২৮ মিলিগ্রাম 

তাছাড়াও কাঠ বাদামের মধ্যে রয়েছে মনোআনস্যাচুরেটেড ও পলিআনস্যাচুরেটেড অয়েল। এই উপাদান গুলো আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

কাঠ বাদামের অপকারিতা 

কাঠ বাদামের অনেক রকমের উপকারিতা রয়েছে। পাশাপাশি এর কিছু অপকারিতাও রয়েছে। যেমনঃ

১. নিয়মিত কাঠ বাদাম খাওয়ার ফলে আপনার শরীরের মধ্যে কখনো কখনো গ্যাস হতে পারে। তাছাড়া অ্যাসিডিটির সমস্যাও দেখা দিতে পারে। 

২. বেশি কাঠ বাদাম খাওয়ার ফলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। 

৩. মাঝে মাঝে শরীরের মধ্যে টক্সিকের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। 

৪. যাদের এলার্জি আছে তারা কাঠ বাদাম না খেলেই ভালো হয়। কারণ কাঠ বাদাম খেলে এলার্জি বেড়ে যেতে পারে। তবে কম খেলে কোনো সমস্যা হবে না। 

Next Post Previous Post