বাবা নিয়ে আবেগ জড়িত সব কবিতা
অনেকেই কবিতা পড়তে খুব ভালবাসেন। আবার অনেকেই বাবা নিয়ে কবিতা ফেসবুক বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করার জন্য ইন্টারনেটে অনুসন্ধান করে থাকে। তাই এখানে কবিতা প্রেমিদের জন্য জন প্রিয় কিছু বাবা নিয়ে কবিতা দেওয়া হয়েছে।
বাবা নিয়ে কবিতা
আমার প্রিয় বাবা
মাহ্ফুজা নাহার তুলি
আমার বাবা আমার কাছে খুবই প্রিয়জন
হৃদয় মাঝে বাবা হলো বড় আপনজন ।
বাবা মানে মাথার ওপর শীতল কমল ছায়া,
বুকের মাঝে লুকিয়ে রাখে আদর আর মায়া ।
বাবা আমায় দেখাত যে সত্য পথের আলো
বাবা আমায় বুঝিয়ে দিতো মন্দ আর ভালো ।
দেখলে বিপদ ঝাপিয়ে পরে আমার প্রিয় বাবা
আসুক যত ঝড় বাদল কিংবা কালো থাবা ।
আজ তুমি নেই তবু আছো এই না গহীন মনে
তোমার কথা মনে করে অশ্রু চোখের কোনে ।
খুব সকালে ঘুম ভাঙ্গাতে আদর করে মাথায়
সেগুলো তো সৃতি শুধু এখন মনের পাতায় ।
আজও আমার মনে পরে হাতটি তোমার ধরে
ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যেতাম কত শত ভোরে ।
তোমার শাসন তোমার বারণ তোমার ভালবাসা
পাইনা খুঁজে হাতরে বেড়ায় মনে হতাশা ।
শুনি না তো বাবা তোমার সেই না দরাজ গলা
দেখি না তো বাবা তোমার সেই না ছুটে চলা ।
এখন আমি খুজি তোমায় ওই আকাশের তারায়
দিন হলে ভাঙ্গি আবার রাত্রি হলে গড়াই ।
আজ অবেলায় ছুটে আসি মন নদীটির কূলে
অশ্রু চোখে তোমার ছবি ওঠে শুধু দুলে ।
হইনি বলা যে কথাটি আজ শুনে নাও বাবা
ভালবাসি তোমায় আমি,আমার প্রিয় বাবা ।
----------------------
বাবা তুমি
সুকান্ত দাস
আজও সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গেছে
তাই আজও বাবার সাথে দেখা হয়নি
কতকাল দেখা হয়না
আমাদের চোখে চোখে কথা নেই কয়েক শতাব্দী
যখন মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গে উঠে বাবাকে দেখতে যায়
দেখতে পাই একজোড়া জীর্ণ ছেঁড়া সেলাইকরা চটি
ছেঁড়া কাপড়ের তৈরি বালিশে মাথা রেখে শুয়ে থাকা বাবার ঘুমন্ত মুখটা দেখলে
মনে হয় দুঃখ যেন দুঃখের সন্ন্যাসিনী
বাবার বুকের ব্যথাটা খুব বেড়েছে
হাঁপানির টান আছে, শ্বাসকষ্ট হয়
শহরের কোনো নাম করা ডাক্তারকে দেখাতে পারলে হত
কিন্তু কত খরচা পড়বে কে জানে !
আমার শরীর খারাপ হলে বাবাকে দেখেছি দিশাহীন জলে উপচে পড়ে দুচোখ
আমাকে ভুল বুঝোনা বাবা,
আমার তো তোমার মতো বুকে আগুন নেই
অকুলানের সংসারে কুলিয়ে দেবার দাম্ভিকতা নেই।
----------------------
অদেখা বাবা
আমি যখন এসেছি ধরণীতে
তুমি চলে গেলে অজানাতে।
তোমার আমার পথ হল ভিন্ন
কেন হলে মোর থেকে ছিন্ন ?
আমার জন্ম পথে
তোমার অভাব এল কষ্ট
হয়ে, মোর জীবনের সাথে।
শৈশব থেকে কৈশোর
তৃষ্ণায় ছিলাম, শুনতে
বাবার অকৃত্রিম সুর।
চিত্ত থেকে হয়েও সিন্ধু
বাবার অভাব রইল
মোর জীবনে শুধু।
কেটে গিয়ে অনেক সময়
এসেছে আজ যৌবন,
তবুও তোমার দ্রূতিময়
মুখখানা দেখি নাই
অভাগার এই জীবন।
কেটে যায় দিন
কেটে যায় রাত
দেখা হয়না বাবার সাথে,
তবুও মনে জাগে
বাবাকে দেখার বড় স্বাদ।
----------------------
বাবা
তুমি চলে গেলে তাই
তোমার শূন্য আসনে
দিন কাটে আমার একলায়।
তোমার আসনে কেহ
আমাকে করে না স্নেহ,
তুমি ছাড়া জগতে কষ্ট
জীবনটা আমার ভ্রষ্ট।
তুমি ছাড়া আমি একলায়
তোমার জন্য কাঁধে
মন নির্জন নিরালায়।
এই জগত সংসারে
আমায় একা পেলে
কেন তুমি দুরে ?
থাকতে যদি মোর পাশে
তোমার কোল জুড়ে
থাকতাম আমি
তোমার পবিত্র বুকে।
----------------------
বাবা
জাহিদুল ইসলাম
মনে পরে শীতের সকাল
তোমার কোলে লুকিয়ে থাকা,
মনে পরে সেই বিকেল
তোমার আঙুল ধরে হাটতে যাওয়া।
ইচ্ছে করে তোমার আদরে
ঘুমোবো আর একটিবার,
ইচ্ছে করে তোমার রক্তচক্ষু
আবার কাঁদাবে আমায়।
তোমার রক্তে আমার জন্ম,
তোমার শাসনে বেড়ে উঠা।
তোমার ঘামে দেখেছি জীবনের প্রতিচ্ছবি
চোখে দেখেছি বিজয়ের স্বপ্ন।
শীতের রাতে তোমার বুকে উষ্ণতা খুজি,
গ্রীষ্মের দুপুরে তোমার ছায়া’য় পাই শীতলতা।
আমি নত মস্তকে, তোমার চরণধূলি মেখে
হেটে যাই জীবনের পথে।
তুমি নাবিক মোর জীবন তরীর
তুমি বন্ধু শত আঘাতে,
তুমি সাহস তুমি প্রেরনা আমার অহঙ্কার
তুমি ঘুম ভাঙ্গানো পাখি আমার
প্রভাতে।
তুমি শ্রদ্ধা তুমি ভালবাসা
তুমি জীবন যুদ্ধে অঙ্গিকার,
তুমি সাহস তুমি শক্তি
তুমি রাহাবার পথ চলার।
আমার প্রতিটা কোষে আঁকা
তোমার অস্তিত্বের পদচিহ্ন।
ভালবাসি শুধু ভালবাসি
বাবা তোমাকে বড় ভালবাসি,
বহুদূরে থেকেও
বাবা তোমাতে ফিরে আসি।
তোমাকে বাবা তোমাকেই ভালবাসি
বাবা তোমাকে..…..…..…..…।
----------------------
বাবা মনে পড়ে তোমাকে
বাবা মনে পড়ে তোমাকে
যখন দেখি কোন বাব তার ছেলেকে
বুক জড়িয়ে আদর করে ।
বাবা খুব বেশি মনে পড়ে তোমাকে
দু:খ , সুখ আর অসহায়ত্বরে সময়ে
তখন কাঁদি একা নীরবে ।
বাবা তোমার মত বন্ধু এখন পাইনা খুঁজে
আনন্দ কি্বা বিপদে ,
কউে দেয়না কোন উপদশে তোমার মত করে
বলনো , ভয় নইে আছি পাশে,এগিয়ে চল সম্মুখে ।
কউে করনও আদর , দেয়না মাথায় হাত বুলিয়ে ।