দুধ খাওয়ার উপযুক্ত সময় কখন?

দুধ খাওয়ার উপযুক্ত সময়

দুধকে শ্রেষ্ঠ খাবার বলা হয়। বাচ্চা থেকে বয়স্ক, সব বয়সী মানুষের শরীরে পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে রোজ এক গ্লাস দুধ পান করা প্রয়োজন। অ্যাসিডিটির সমস্যা, পিরিয়ডের সময় তীব্র যন্ত্রণা, কাজের স্ট্রেসে অস্থির অবস্থা- এসব সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে এক গ্লাস দুধ। তবে সঠিক সময় এবং সঠিক পদ্ধতি মেনে দুধ পান করতে হবে। 

দুধ খাওয়ার উপযুক্ত সময়

  • দুধ পানের সবচেয়ে উপযুক্ত সময় বিকেল। ভালো হজমের জন্য লাঞ্চ করার দু ঘন্টা পর দুধ পান করলে সবচেয়ে ভালো হয়। দুধ যেহেতু ভারী খাবার এটি রাতে না খাওয়াই ভালো। রাতে দুধ খেলে হজমের জন্য সময় পায় না। ফলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।

  • ভারী খাবার গ্রহণের পরে কখনো দুধ পান করবেন না। কারণ দুধ হজম করতে সময় লাগে তাই খাবার পর দুধ পান করলে খাবার হজম প্রক্রিয়া দূর্বল হয়ে পরে। ফলে অ্যাসিডিটির মতো বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।

  • খালি পেটে দুধ পান করা এড়িয়ে চলুন। আপনি যদি বদহজম বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে অবশ্যই এটি মানুন।

  • অনেকেরই অভ্যাস রয়েছে চা কিংবা দুধ দিয়ে ওষুধ খাওয়ার। বিশেষজ্ঞদের মতে, দুধ দিয়ে অ্যালোপ্যাথি ওষুধ খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। তবে ডাক্তারের পরামর্শ মেনে আয়ুর্বেদিক ওষুধ দুধ দিয়ে খাওয়া যেতে পারে।

  • বাসি দুধ পান করা এড়িয়ে চলুন। কারণ, বাসি দুধের থেকে টাটকা দুধের গুণগতমান অনেক বেশি। এ ছাড়া বাসি দুধ শরীরে নানাবিধ সমস্যা তৈরি করে। তাই সর্বদা টাটকা এবং ভালো করে ফুটিয়ে দুধ পান করুন।

  • দুধ পানের আগে বা পরে টক জাতীয় ফল বা আচার কিছু খাবেন না। এছাড়াও নোনতা জাতীয় খাবার ফাস্ট ফুড চিপস এ জাতীয় খাবেন না। খেতে হলে এক ঘন্টা বিরতি দিয়ে তবেই খাবেন। নাহলে কেমিক্যাল রি-একশ্যান হয়ে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিবে।

দুধের উপকারিতা

হাড় ও পেশিকে শক্তিশালী করতে 

দুধে আছে প্রচুর পরিমানে ক্যাসলিয়াম ও ভিটামিন ডি যা আমাদের শরীর হাড় ও পেশিকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন এক গ্লাস করে দুধ খেলে আমাদের হাড় মজবুদ ও শক্তিশালী হবে। এজন্য শিশুদের প্রতিদিন দুধ খাওয়াতে ডাক্তাররা পরামর্শ দিয়ে থাকেন। শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক পর্যন্ত সবারই দুধ খাওয়া উচিত কারন দুধের উপকারিতা অনেক।

ফিটনেস ভালো ও সুস্থ রাখে 

ফিটনেস ঠিক রাখতে আমরা কতকিছুই না করে থাকি। অনেকে জিম করে, কেই জগিং করে। আপনি কি জানেন শরীর সুস্থ রাখার একমাত্র উপায় হলো স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া। স্বাস্থ্যকর খাবারের মধ্যে দুখ খুবই উপকারি। নিয়মিত দুধ খেলে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে এবং মন সতেজ থাকবে। তাই আমাদের প্রতিদিন একগ্লাস করে দুধ খাওয়া উচিত।

শরীরের শক্তি যোগায় এবং ক্লান্তি দুর করে 

শরীরে শক্তি যোগাতে দুধের উপকারিতা অনেক। আপনি হয়তো জানেন না দুধ খেলে আপনার শরীলে শক্তি সঞ্চয় হয় এবং আপনার ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। আমরা প্রতিদিন কত কাজেই না ব্যস্ত থাকি। আমাদের শরীর অনেক ক্লান্ত হয়ে পরে। আপনি যদি নিয়মিত দুধ খেতে পারেন তাহলে এই ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে। গরুর দুধে আছে ভিটামিন, প্রাটিন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ফসফরাস সহ নানান পুষ্টিগুন।

মানসিক চাপ দূর করতে 

দুধে থাকা পুষ্টিগুন আমাদের মানসিক চাপ দূর করতে সাহায্য করে। আমরা যখন মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পরি বা দুশ্চিন্তা করি তখন আমরা অনেক ক্লান্ত এবং ভেঙ্গে পরি। আমরা যদি প্রতিদিন দুধ খাই তাহলে এই ক্লান্তিগুলো দূর হয়ে যাবে ফলে মন এবং শরীর তাজা থাকবে। তাই আমাদের প্রতিদিন দুধ খাওয়া অভ্যাস করা উচিত।

শরীরের ওজন হ্রাস করে 

প্রতিদিন দুধ খেলে শরীরের ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করে। আমাদের প্রতিদিন দুধ খাওয়া উচিত।

হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে 

প্রতিদিন দুধ খেলে হার্ট ভাল থাকে। কম ফ্যাট যুক্ত দুধ খেলে রক্তে ভালো কোলেস্টেরলের পরিমান বৃদ্ধি পায় ও খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। হার্ট ভাল রাখতে প্রতিদিন দুখ পান করুন।

ডায়াবেটিসের সমস্যা কমাতে 

দুধের উপকারিতার মধ্যে এটি অন্যতম। আমরা জানি দুধে ক্যালশিয়াম ও ভিটামিন ডি তে ভরপুর। যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা যদি প্রতিদিন দুধ খায় তাহলে এই সমস্যা কমবে বলে জানা যাচ্ছে। তবে কম ফ্যাট যুক্ত দুধ খেতে হবে।  

Next Post Previous Post