দুধের সাথে কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

দুধের সাথে কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

দুধের সাথে কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা নেহাত কম নয়। শরীর দুর্বল লাগা, মাথা ঘোরা এসব থেকে মুক্তি পাবেন। এছাড়াও যাঁরা জটিল কোনও অসুখে ভুগছেন তাঁরাও এই দুধের সাথে কিসমিস খেলে ভালো ফল পাবেন। পেট পরিষ্কার থাকবে।

দুধের সাথে কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

  • এই সময়ে কিসমিস ও দুধপান শরীরের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপযোগী ৷ কেননা কিশমিশে তন্তু জাতীয় খাবার প্রচুর পরিমাণে থাকে ৷

  • দুধ ও কিসমিসে সোডিয়ামের পরিমাণ পর্যাপ্ত থাকে বলেই উচ্চ রক্তচাপ থাকলে তা অত্যন্ত সহজেই কমে ৷ ফলত জীবনের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায় ৷

  • ক্যান্সারের মত মারণ রোগের ক্ষেত্রেও দুধ ও কিসমিস খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় ৷ দুধে কেচেটিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় ৷

  • যা ফ্রি র‍্যাডিক্যাল ড্যামেজ বাঁচানোর ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে কাজ করে ৷ সেই কারণেই পরামর্শ দেওয়া হয় গরম দুধের সঙ্গে কিসমিস খাওয়ার ৷ 

  • কিসমিস ও দুধ পান করলে চোখের পক্ষে অত্যন্ত ভাল হয় ৷ এতে পলোফেলেনিক ফাইটোনিউট্রিয়ন্স থাকে ৷ যা একটি মজবুত অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতই চোখের সুরক্ষায় বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে ৷

  • রক্তল্পতা ও কোষ্ঠ কাঠিন্যর সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে গরম দুধের সঙ্গে মিশিয়ে নিন কিসমিস এক্কেবারে ম্যাজিক বা মন্ত্রের মত কাজ করবে ৷

  • দুধের মধ্যে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম রাইবোফ্লাবিন (ভিটামিন বি ২)-এর মত পুষ্টিজাত পদার্থ আছে ৷ এছাড়াও দুধে ভিটামিন এ, ডি, ই-র সঙ্গে ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, আয়োডিন-সহ বেশ কয়েকটি উপকারী খনিজ আছে ৷

  • দুধে খনিজের সঙ্গে সঙ্গে ন্যাচরাল ফ্যাটও আছে, দুধে বেশ কিছু উৎসেচক, এমন কিছু উপদানা আছে যা সরাসরি রক্তের উপকার করে, যা শরীরের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারীও বটে ৷

  • কিসমিসে আয়রনের মাত্রা একটু বেশি পরিমাণেই থাকে যা অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা থেকে মুক্তি দেয় ৷ এছাড়াও কিশমিশে তামা বা কপার থাকে ৷ 

  • কিসমিসে লোহিত রক্ত কণিকা থাকায় শরীরে রক্তের অভাব হয়না ৷ কিশমিশে ভিটামিন এ, বি কমপ্লেক্স ও সেলিনিয়ন থাকে ৷

  • যা প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরও জাগ্রত করে, কমজোর ভাব ও গুপ্তরোগও দূর করে ৷ দুধের সঙ্গে কিসমিস খেলে যে যে উপকার পাওয়া যায় ৷

Next Post Previous Post