পাউডার দুধের উপকারিতা, পুষ্টিগুণ ও কিছু সতর্কতা

পাউডার দুধের উপকারিতা

দুধ যে আদর্শ খাবার তাতে সন্দেহ নেই। অনেক উপকার আছে। আবার কিছু কিছু ক্ষতিও হয় এতে। দুধে প্রচুর পুষ্টি-উপাদান থাকে। ক্যালসিয়াম ছাড়া দুধের মধ্যে ফসফরাস, আয়রন, জিংক, কপার, ম্যাঙ্গানিজের পরিমাণও অনেক বেশি থাকে। দুধ খাওয়ার উপকারিতা অনেক।

পাউডার দুধে প্রায় ২১ প্রকার অ্যামিনো এসিড, মিনারেলস ও ভিটামিন রয়েছে। যেগুলো আসল দুধেও পাওয়া যায়। কিন্তু কিছু পার্থক্য রয়েছে। আসল দুধে একটু বেশি পরিমাণে ভিটামিন বি-৫, বি-১২, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে পাউডার দুধের তুলনায়। তবে পাউডার দুধে কিছু বাড়তি উপাদান যুক্ত হয় প্রক্রিয়াজাতকরণের সুবিধার্থে। পাউডার দুধে অক্সিডাইজড কোলেস্টেরলের পরিমান বেশি।

পাউডার দুধের উপকারিতা

যাদের হজমে সমস্যা রয়েছে, এমনি  দুধ খাওয়া তাদের জন্য অনেক সময় বদহজমের কারণ হয়।  কারণ এমনি দুধে ল্যাকটোজের পরিমাণ বেশি থাকে যা সহজে হজম হয় না। কিন্তু পাউডার দুধে রয়েছে স্বল্প পরিমাণ ল্যাকটোজ। যা সহজে আমাদের দেহ হজম করতে পারে। এছাড়া পাউডার দুধ অনেকদিন পর্যন্ত খুব সহজেই ফ্রিজ ছাড়াই সংরক্ষণ করা যায়। পাউডার দুধ পরিবহন করাও সহজ। সবথেকে বড় যে পার্থক্যটি রয়েছে এমনি দুধ ও পাউডার দুধের মধ্যে তা হলো স্বাদ এর পার্থক্য। এটি অস্বীকার করার উপায় নেই যে আসল দুধ খাওয়ার মজাই আলাদা। এছাড়া চা, কফি, কেক ইত্যাদি খাবারে পাউডার দুধের বদল  আসল দুধ ব্যবহার করলে স্বাদ অনেকগুণ বেশি পাওয়া যায়। তবে পাউডার দুধ ও আসল দুধের মধ্যে পুষ্টি উপাদানের কোনো পার্থক্য নেই। কিন্তু পাউডার দুধ ব্যবহার, সংরক্ষণ, পরিবহন অনেক সহজ। আর সবথেকে বড় যে সুবিধাটি রয়েছে তা হলো পাউডার দুধ এর মূল্য আসল দুধের প্রায় অর্ধেক অথচ পুষ্টিগুণ সমান। তাই আপনি আপনার পছন্দমতো পাউডার দুধ কিংবা আসল দুধ যে কোনোটিই খেতে পারেন।

পাউডার দুধের পুষ্টিগুণ 

দুধ অন্যান্য শক্তি ও অসাধারণ পুষ্টির আঁধার। প্রায় সবাই দুধকে পরিপুরক খাদ্য হিসেবে গ্রহন করি কিন্তু বিশেষজ্ঞরা দুধকে মুল খাদ্য হিসেবে গ্রহন করতে বলেছেন। দুধের অপরিহার্য উপাদান ল্যাকটোজ–যা দৈহিক গঠন, বিকাশ ও মেধা বৃদ্ধিতে সহায়ক। এছাড়াও দুধে আছে অ্যামাইনো এসিড, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ। যেমন – ক্রোমিয়াম, ম্যাংগানিজ, আয়রন,কোবাল্ট, কপার, জিংক, আয়োডিন ও সেলিনিয়াম।বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ক্যান্সার ও হৃদরোগ প্রতিরোধে গরুর দুধের শক্তিশালী ভূমিকা রয়েছে।  দুধ সব পুষ্টির আধার ও শক্তির উৎস।

পাউডার দুধের কিছু সতর্কতা 

  • যারা নিয়মিত ঔষধ সেবন করেন তারা ডাক্তারি পরামর্শ ব্যতীত পাউডার দুধ  খাবেন না। 

  • অনেক সময় মিশ্র প্রতিক্রিয়া হতে পারে।

  • যাদের ডিউডেনাল আলসার বা কোলেসিসটিটিস রয়েছে দুধ পান করলে তাদের রোগের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।

  • আয়রন ট্যাবলেট গ্রহণকালে দুধ পরিহার করবেন। সমস্যা হতে পারে।

  • পেটের অপারেশনের রোগীর জন্য দুধ খাওয়া নিরাপদ নয়। অনেক স্বাস্থ্যঝুকি রয়েছে।

  • এছাড়াও খালি পেটে দুধ পান হতে বিরত থাকবেন।

Next Post Previous Post