তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল ও কিছু উত্তর

তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল

রাতের শেষ ভাগে তাহাজ্জুদের নামাজের পাশাপাশি আল্লাহর দরবারে চোখের পানি ফেলা ও আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া খাঁটি ঈমানদারের বৈশিষ্ট্য। ঈমানদারদের গুণাবলি সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে —  ‘তারা ধৈর্যশীল, সত্যবাদী, অনুগত ব্যয়কারী ও রাতের শেষ প্রহরে ক্ষমাপ্রার্থী।’ - (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৭)

আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে আরও বলেন, ‘আর রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ পড়বে। এটা তোমার অতিরিক্ত দায়িত্ব। অচিরেই তোমার রব তোমাকে প্রশংসিত স্থানে প্রতিষ্ঠিত করবেন।’ (সুরা বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৭৯)

তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল

তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা নফল। বিশুদ্ধ হাদিসের বর্ণনায় জানা যায় রাসূল (সা.) কখনো তাহাজ্জুদ নামাজ চার রাকাত পড়তেন, কখনো ছয় রাকাত পড়তেন। কখনো আট রাকাত পড়তেন। কখনো দশ রাকাত পড়তেন।

আবু সালামা ইবনে আব্দুর রহমান থেকে বর্ণিত, তিনি হজরত আয়েশা (রা.) কে জিজ্ঞেস করেন যে, রমজানে নবিজির নামাজ কেমন হতো? তিনি উত্তরে বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) রমজানে এবং রমজানের বাইরে এগারো রাকাতের বেশি পড়তেন না। প্রথমে চার রাকাত পড়তেন, যার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করো না! এরপর আরও চার রাকাত পড়তেন, যার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা তো বলাই বাহুল্য! এরপর তিন রাকাত (বিতর) পড়তেন। (সহিহ বুখারি ১/১৫৪)।

আব্দুল্লাহ ইবনে আবি কাইস বলেন, আমি হজরত আয়েশা (রা.)-এর কাছে জিজ্ঞেস করলাম যে, নবিজি বিতের কত রাকাত পড়তেন? উত্তরে তিনি বলেন, চার এবং তিন, ছয় এবং তিন, আট এবং তিন, দশ এবং তিন। তিনি বিতের সাত রাকাতের কম এবং তেরো রাকাতের অধিক পড়তেন না। (সুনানে আবু দাউদ ১/১৯৩)।

হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী তাহাজ্জুদের নামাজ ১০ রাকাত পর্যন্ত পড়া রাসূল (সা.) থেকে প্রমাণিত হলেও এর চেয়ে বেশি পড়তে বাধা নেই। কেননা তাহাজ্জুদ নফল ইবাদত-তাই যত বেশি পড়া যায় ততই সওয়াব। আবার চার রাকাতের কম পড়লে তাহাজ্জুদ আদায় হবে না, বিষয়টি এমনও নয়। তাই দুই রাকাত পড়লেও তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় হয়ে যাবে। তাহাজ্জুদের নামাজ দুরাকাত করে যেমন পড়া যায় তেমনি চার রাকাত করেও পড়া যায়। 

Next Post Previous Post