এলোভেরা জেল ত্বকে ব্যবহারের নিয়ম

 

এলোভেরা জেল ত্বকে ব্যবহারের নিয়ম

ত্বকের যত্ননে অ্যালোভেরার ব্যবহার সম্পকের্ আমরা সবাই জানি। এর অ্যান্টি ইনফ্লামেনটরি উপাদান ত্বকের ইনফেকশন দূর করে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দেয়।

এলোভেরা জেল ত্বকে ব্যবহারের নিয়ম

  • বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপকরণ এর সাথে আমরা এলোভেরা জেল মিশ্রন করে আমাদের ত্বকে লাগাতে পারি।
  • এলোভেরার সাথে যদি আমরা সামান্য পরিমাণ মুলতানি মাটি ও মধু মিক্স করে ত্বকে ব্যবহার করি তাহলে আমাদের ত্বক থেকে বিভিন্ন ধরনের রোদে পোড়া দাগ সহ বলিরেখা দাগ দূর হয়ে যায়।
  • তাছাড়াও এলোভেরা জেল এর সাথে ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে আমরা ফেইসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে পারি।
  • এলোভেরা জেল এর সাথে টমেটো ও আলু, একটু মধু, কাঁচা হলুদ দিলে সেটা গোল্ড ফেসিয়ালের মতো আমাদের কাজ দেয়। 
  • অ্যালোভেরা ত্বকে লাগাতে হলে প্রথমেই মুখ পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর একটি তাজা অ্যালোভেরার ভেতরের অংশ থেকে রস সংগ্রহ করে নিন। সেই রস তুলোর সাহায্যে পুরো মুখে লাগিয়ে নিন।
  • অ্যালোভেরার রস শুকিয়ে গেলে এভাবেই ঘুমিয়ে পড়তে পারেন। সারারাত অ্যালোভেরার রস ত্বকের নানা সমস্যা দূর করতে ভূমিকা রাখবে।
  • তুলো বা সুতি কাপড় ছাড়া অন্যকিছু দিয়ে ত্বকে অ্যালোভেরা লাগানো ঠিক নয়। তাতে অ্যালার্জী হওয়ার ঝুকি তৈরি হয়।
  • অনেক সময় ত্বকে ক্ষত দেখা দেয়। এ ধরনের ক্ষতে নির্ভয়ে ব্যবহার করা যায় অ্যালোভেরা। এতে ক্ষত স্থান দ্রুত মসৃন হয়।
  • শুধু মুখের জন্য নয়, পুরো শরীরে ব্যবহার করা যায় অ্যালোভেরা। এক্ষেত্রে সাবধানতা হলো, অ্যালোভেরার রস ত্বকে লাগিয়ে রোদে যাওয়া যাবে না। তাতে উল্টো ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।

এলোভেরা জেল তৈরির নিয়ম

  • প্রথমে আমরা এলোভেরা ঢাল থেকে সবুজ অংশ আলাদা করে সাদা অংশ গুলো নিয়ে নিব।
  • এরপরে একটি পাতিলে কিছু পরিমাণ পানি চুলায় সিদ্ধ করতে দিবো, যখন পানি সিদ্ধ হয়ে আসবে তখন আমরা এলোভেরা জেল গুলো পানিতে ঢেলে দিব।
  • এরপর সিদ্ধ হতে হতে পাতিলের উপরে ফেনার মতো হয়ে যাবে। খুব সাবধানতার সাথে এগুলো আমাদের সরিয়ে ফেলতে হবে। কারণ এগুলো আমাদের ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক।
  • এরপরে আরো সিদ্ধ করতে করতে যখন মিশ্রণ টি একটু আঠালো হয়ে যাবে তখন আমরা চুলা বন্ধ করে দিব।
  • যখন মিশ্রণটি ঠান্ডা হয়ে যাবে তখন এই মিশ্রণটি আমরা একটি কাচের বোতলে বা বাটিতে সংরক্ষন করে রেখে দিব।
  • এই ধরনের সংরক্ষণ খুব সহজে করে রাখা যায় এবং ফ্রিজে ও রেখে দেওয়া যায়। সেখান থেকে নিয়ে ও আমরা ব্যবহার করতে পারি।

Next Post Previous Post