খালি পেটে লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

খালি পেটে লেবু খাওয়ার উপকারিতা

খালি পেটে লেবু পানি খেলে দেহের ভেতরে পি এইচ লেভেলের ভারসাম্য ঠিক থাকে। ফলে ভেতর এবং বাইরে থেকে শরীর এতটাই চাঙ্গা হয়ে ওঠে যে দেহের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে সময় লাগে না। আপনি যদি ডায়েট করার চিন্তা-ভাবনা করতে থাকেন, তাহলে লেবু পানিকে আপনার সেরা বন্ধু হিসেবে বেছে নিতে হবে।

খালি পেটে লেবু খাওয়ার উপকারিতা

পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়

লেবু পানির ভেতরে যে কেবল ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মজুত থাকে তা নয়, সেই সঙ্গে উপস্থিত থাকে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম এবং আরও কত কী, যা দেহের ভেতরে পুষ্টির ঘাটতি দূর করে শরীরকে শক্তপোক্ত রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

হজম শক্তি বাড়ায়

লেবু পানিতে যে এসিড রয়েছে তা খাবার হজম করতে সাহায্য করে। এতে আছে সাইট্রাস ফ্লাভোনইডস যা পাকস্থলীতে খাবারকে ভেঙে সহজেই হজম করে। বয়সের সাথে সাথে হজম ক্ষমতা কমে যায়। এছাড়াও পানির সাথে কয়েক টুকরা লেবু বা কুচি করা লেবুর ছোলা মিশিয়ে খেলেও আপনি পেকটিনের গুণ পাবেন। পেকটিন হলো এক ধরনের ফাইবার যা ছোলা থেকে পাওয়া যায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, ফাইবার হজম শক্তি বাড়াতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তাই লেবু পানি না খেলেও টুকরা লেবু পানিতে দিয়ে বা লেবুর ছোলা পানিতে দিয়ে খেলে উপকার পাবেন।

ওজন কমাতে সাহায্য করে

আপনি যদি ডায়েট করার চিন্তা-ভাবনা করতে থাকেন, তাহলে লেবু পানিকে আপনার সেরা বন্ধু হিসেবে বেছে নিতে হবে। লেবুতে আছে পলিফেনলস যা ক্ষুধা নিবারণে সাহায্য করে। এছাড়া খাওয়ার আগে পানি পান করলেও ক্ষুধা কিছুটা কম লাগে। সকালে উঠে যদি আপনার কমলার জুস পানের অভ্যাস থাকে, তাহলে অভ্যাসটি বদলে লেবু পানি পানের চেষ্টা করুন। কারণ কমলার জুসে ক্যালরি থাকে যাতে আপনার ওজন বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ৮-১২ আউন্স নরমাল বা ঠান্ডা পানিতে পুরো একটি লেবুর রস মিশিয়ে নিন। তবে ওজন কমানোর জন্য ঠান্ডা লেবুর পানিই বেশি কার্যকরী।

টিবি রোগের চিকিৎসায় কাজে আসে

সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্রে এমনটা দাবি করা হয়েছে, টিবি রোগের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত ওষুধের সঙ্গে লেবুর মতো ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল যদি খাওয়া যায়, তাহলে ওষুধের কর্মক্ষমতা মারাত্মক বৃদ্ধি পায়। ফলে রোগের প্রকোপ কমতে সময়ই লাগে না।

কিডনির পাথর প্রতিরোধ করে

লেবুতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড কিডনিতে পাথর জমা প্রতিরোধ করে। এই সাইট্রিক অ্যাসিড কিডনিতে পাথর প্রতিরোধের পাশাপাশি জমে থাকা পাথর বের করতেও সাহায্য করে।

ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ে

হাজারো বিউটি প্রডাক্ট যা করে উঠতে পারেনি, তা লেবু পানি নিমেষে করে ফেলতে পারে। আসলে এই পানীয়তে উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান ত্বকের হারিয়ে যাওয়া ঔজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনে। সেইসঙ্গে ত্বকের বয়স কমানোর পাশাপাশি ব্ল্যাক হেডস এবং বলিরেখা কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, গরমকালে ত্বককে ঠাণ্ডা এবং ঘামমুক্ত রাখতে লেবুর পানি দিয়ে বারে বারে মুখটা ধুতে পারেন, দেখবেন উপকার পাবেন।

লিভারের কার্যক্রম সচল রাখে

লিভার আপনার শরীরে ফিল্টার হিসেবে কাজ করে। লেবুর সাইট্রাস ফ্লাভোনইডস‌ লিভার থেকে বর্জ্য ফেলে দিতে ও লিভারের ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। তাই লিভারকে সুস্থ রাখার জন্য লেবু পানি খুব উপকারী।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে

সাধারণত পটাশিয়ামের কথা বললেই প্রথমে কলা এবং বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি ও ফলমূলের কথা মাথায় চলে আসে। কিন্তু লেবু থেকেও যথেষ্ট পরিমাণ পটাশিয়াম পাওয়া সম্ভব। পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, মাংসপেশীর কর্মক্ষমতা বাড়ায় ও হার্টবিট নিয়ন্ত্রণ করে। তাই আপনার শরীরে পটাশিয়ামের চাহিদা পূরণ হওয়া দরকার। যেহেতু লেবুতে পটাশিয়াম রয়েছে তাই দিনের শুরুতে লেবু পানি পান করে নিলে আপনার শরীরে পটাশিয়ামের চাহিদার কিছুটা পূরণ করতে পারবেন।

স্ট্রেস এবং ক্লান্তি থেকে মুক্তি মেলে

একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে, নিয়মিত লেবুর পানি খেলে স্ট্রেস একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে অবসাদের প্রকোপও কমে। আসলে লেবু পানিতে উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান শরীরে প্রবেশ করা মাত্র বিশেষ কিছু হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। যে কারণে এমন সব সমস্যা নিমেষে কমে যেতে শুরু করে।

নিশ্বাসে সজীবতা আনে

খাওয়ার পর অনেক সময় মসলা- পেঁয়াজ, রসুন বা মাছের গন্ধ মুখে লেগে থাকে। মুখের দুর্গন্ধ বা নিশ্বাসের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পেতে খাওয়ার পর এক গ্লাস লেবুর পানি পান করতে পারেন। এক্ষেত্রে সকালে পান করলেও ফল পাওয়া যায়। এছাড়া লেবু পানিতে কুলকুচি করলেও মুখ সতেজ ও সুস্থ থাকে।

বিপাকে সাহায্য করে

ঠান্ডা পানি বিপাকে তুলনামূলক বেশি উপকারী। আর লেবুর খোসা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে যা বিপাক প্রক্রিয়ায় সহায়ক। তাই ঠান্ডা লেবুর পানিতে কিছুটা লেবুর খোসা কুচি করে মিশিয়ে খেয়ে নিন।

সংক্রমণের প্রকোপ কমে

লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ। তাই তো লেবু পানি যে কোনও ধরনের সংক্রমণ, বিশেষত গলার সংক্রমণ কমাতে দারুনভাবে সাহায্য় করে থাকে। এক্ষেত্রে লেবু পানি দিয়ে গার্গেল করলেই উপকার পাওয়া যায়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

টক জাতীয় যেকোনো ফল, যেমন- লেবুতে আছে ভিটামিন সি যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়াও লেবুতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যার প্রভাবে শরীরে কোনো রোগ জীবাণু সহজে বাসা বাঁধতে পারে না। তাই যেকোনো ধরনের ইনফেকশন বা অসুস্থতা এড়াতে লেবুর কোনো বিকল্প নেই। আর লেবুর খোসায় আছে ক্যালসিয়াম, পেকটিন, ফাইবার ও বিভিন্ন খনিজ পদার্থ যা বিভিন্ন রোগের নিরাময়ে সাহায্য করে।

ভিটামিন সি এর গুণ

United States Department Of Agriculture এর মতে, ১/৪ কাপ লেবুর রস থেকে আপনি ২৩.৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি পেতে পারেন। ভিটামিন সি-তে রয়েছে বেশ কার্যকরী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের কোষগুলোকে সুরক্ষিত রাখে। National Institute Of Health এর মতে, এই ভিটামিন কার্ডিওভাস্কুলারজনিত রোগ ও ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি স্কার্ভি রোগের প্রতিরোধক, যার ফলে মাড়ি থেকে রক্ত পড়ার সমস্যা সমাধান হতে পারে।

শরীর হাইড্রেট রাখবে

লেবুর গুণ আপনাকে সরাসরি হাইড্রেট রাখবে না। তবে লেবুর স্বাদ এ বিষয়ে পালন করবে এক অনন্য ভূমিকা। শরীরে পানির পারফেক্ট ব্যালেন্স বজায় রাখতে সারাদিনে আপনার প্রচুর পরিমাণ পানি পান করা দরকার। পানিতে কোনো স্বাদ নেই বলেই হয়তবা বারবার খাবার আগ্রহটা কাজ করে না। সেক্ষেত্রে লেবু পানি পানে স্বাদও পাবেন এবং হাইড্রেটও থাকবেন। যদিও প্রতিদিন আপনার শরীরে ৮ গ্লাস পানির চাহিদা থাকে, তবুও অনেক কিছুর উপর ভিত্তি করেই এই চাহিদা কম বেশি হতে পারে। যেমন- আপনার ওজন, কাজের চাপ, চাহিদা এবং আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে আপনার শরীরে ঠিক কতটুকু পরিমাণ পানি পরিমিত বলে গণ্য হবে।
 
বয়স ধরে রাখে

এখানেও ভিটামিন সি! গবেষকদের মতে, ভিটামিন সি বলিরেখার সম্ভাবনা অনেকটা কমিয়ে আনে। ভিটামিন সি-তে আছে কোলাজেন যা ত্বকের সুরক্ষায় কাজ করে।
 
লিভারের কার্যক্রম সচল রাখে

লিভার আপনার শরীরে ফিল্টার হিসেবে কাজ করে। লেবুর সাইট্রাস ফ্লাভোনইডস্‌ লিভার থেকে বর্জ্য ফেলে দিতে ও লিভারের ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। তাই লিভারকে সুস্থ রাখার জন্য লেবু পানি খুব উপকারী।
 
পটাশিয়ামের মাত্রা বাড়ায়

সাধারণত পটাশিয়ামের কথা বললেই প্রথমে কলা এবং বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি ও ফলমূলের কথা মাথায় চলে আসে। কিন্তু লেবু থেকেও যথেষ্ট পরিমাণ পটাশিয়াম পাওয়া সম্ভব। পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, মাংসপেশীর কর্মক্ষমতা বাড়ায় ও হার্টবিট নিয়ন্ত্রণ করে। তাই আপনার শরীরে পটাশিয়ামের চাহিদা পূরণ হওয়া দরকার। যেহেতু লেবুতে পটাশিয়াম রয়েছে তাই দিনের শুরুতে লেবু পানি পান করে নিলে আপনার শরীরে পটাশিয়ামের চাহিদার কিছুটা পূরণ করতে পারবেন।
 
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সমাধানেও দারুণ কাজ করে লেবু পানি। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে হালকা কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করে নিন। শুধু লেবুর রস গরম পানি দিয়ে পান করতে খারাপ লাগলে এর সাথে মিশিয়ে নিতে পারেন মধু ও সামান্য লবণ। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার এই ফর্মুলাটি অভাবনীয়ভাবে কাজ করে। তাই সকালে উঠে লেবু পানি গলাধঃকরণ করলে আপনার পেট পরিষ্কার হওয়ার ব্যাপারটা একেবারেই নিশ্চিত।
 
কিডনির পাথর প্রতিরোধ করে

কিডনিতে পাথর হওয়ার সমস্যাটি এখন অহরহ দেখা যায়। অপারেশন করে, ওষুধ খেয়ে বা লেজার চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগটি নিরাময় করা যায়। কিন্তু এই রোগটিই যেন না হয় হয় তাই আগে থেকে সাবধানতা অবলম্বন করা ভালো। ডিহাইড্রেশন বা পানির স্বল্পতার কারণে কিডনিতে পাথর জমে। তাই লেবু পানি পান করলে আপনার শরীরে পানির অভাব হবে না এবং কিডনিতে পাথর জমারও সম্ভাবনা থাকবে না। এছাড়া লেবু কিডনি ও পাকস্থলীর পাথর গলাতেও সাহায্য করে।
 
মুখের দুর্গন্ধ হতে দেয় না

লেবুতে যে সাইট্রাস আছে তা সহজেই মুখের ভেতর ব্যাকটেরিয়া হওয়ার সম্ভাবনা রোধ করে। আর তাই মুখে দুর্গন্ধ হয় না। তবে লেবুর এসিড দাঁতে অতিরিক্ত পরিমাণ পড়লে দাঁতের এনামেল নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই মাঝে মাঝে স্ট্র দিয়ে লেবু পানি পান করতে পারেন।

গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য উপকারি

গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীরে প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি উপাদানের চাহিদা পূরণ ছাড়াও গর্ভস্থ শিশুর চাহিদাও পূরণ করতে হয়। সেক্ষেত্রে ভিটামিন সি বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। লেবু পানিতে আছে ভিটামিন সি যা গর্ভবতী মায়ের শরীরের বিভিন্ন ক্ষতিকর ভাইরাস ধ্বংস করবে এবং হাড়ের টিস্যুগুলোকেও মজবুত রাখবে। আর গর্ভে থাকা শিশুও যেকোনো ধরনের রোগ-জীবাণু থেকে মুক্ত থাকবে।
 
ক্লান্তি দূর করে

গরমের দিনে আমাদের শরীর প্রচণ্ড ঘেমে যায়। ফলে শরীরে ব্লাড সুগার লেভেল কমে যায় এবং আমরা ক্লান্ত হয়ে যাই। লেবু পানিতে চিনি মিশিয়ে পান করে নিলে ব্লাড সুগার লেভেল বেড়ে যায় এবং ক্লান্তিটা আর থাকে না!
 
ডায়াবেটিকদের জন্য উপকারি

লেবুতে যে ফাইবার আছে তা আপনার শরীর ভাঙতে পারে না বলেই ব্লাড সুগার লেভেলে এর জন্য কোনো প্রভাব পড়ে না। Joslin Diabetes Center-এর পরামর্শ অনুযায়ী দিনে ২০-৩৫ গ্রাম ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া দরকার। মাঝারি আকারের একটি লেবুর রস থেকে ২.৪ গ্রাম ফাইবার পাওয়া যায় যা একজন ডায়াবেটিক রোগীর শরীরে ৭-১২% ফাইবারের চাহিদা পূরণ করে।

খালি পেটে লেবু খাওয়ার অপকারিতা 

দাঁত ও হাঁড়ে সমস্যা

সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, কোমল পানীয় খেলে দাঁতের যে ক্ষতি হয় গরম পানিতে লেবু মিশিয়ে খেলেও দাঁতের সেরকম ক্ষতি হতে পারে। এছাড়া যারা প্রতিদিন সকালে খালি পেটে লেবুপানি খান তারা যদি দিনে দুইবার দাঁত ব্রাশ না করেন তাহলে দাঁতে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

সোডিয়াম ও ইলেকট্রোলাইটের অভাব হতে পারে

গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে তা আমাদের ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। ফলে বারবার প্রস্রাব করার প্রয়োজন হয়। এছাড়াও শরীর শক্ত হয়ে যাওয়া, পেট ফেঁপে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। বারবার প্রস্রাব হলে শরীরের সোডিয়াম ও ইলেকট্রোলাইট বেরিয়ে যায়। ফলে দেখা দেয় নানা রকম অসুস্থতা। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে খালি পেটে লেবুপানি পান করা এড়িয়ে চলুন।

রক্তে আয়রনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়

আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান হলো আয়রন। ভিটামিন সি আমাদের রক্তে আয়রনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। আয়রন যদি অতিরিক্ত হয় তবে তা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এর ফলে নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি ক্ষতি হতে পারে শরীরের নানা অঙ্গপ্রত্যঙ্গের। তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে চাইলে খালি পেটে লেবুপানি পান করবেন না।
Next Post Previous Post