আয়ুর্বেদিক শ্যাম্পু ও তার ব্যবহারের পদ্ধতি

আয়ুর্বেদিক শ্যাম্পু

আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞের মতে ভিটামিন সি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি যা কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে। এর জন্য আমলকী, কিউই, মিষ্টি আলু, স্ট্রবেরি, পেয়ারা, কমলালেবু, বেরি, পেঁপে খান। চুলের ফলিকল উন্নত করতে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খান। স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার যেমন মিষ্টি আলু, গাজর, কুমড়ো ইত্যাদি খান।

এছাড়াও ভিটামিন ই, ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। পালং শাক, গোটা শস্য এবং মটরশুটি থেকে গাঢ় শাকসবজি থেকে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স পাওয়া যায়, সেগুলোকে ডায়েটে রাখুন। স্বাস্থ্যকর ফ্যাট যেমন- ঘি, তিলের বীজ, শণের বীজ, জলপাই তেল, নারকেল তেলও চুলের পুষ্টির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

আয়ুর্বেদিক শ্যাম্পু 

এখানে যে উপাদানগুলো নেওয়া হবে সবই গুঁড়ো আকারে। মুদির দোকানেই এগুলো কিনতে পাওয়া যায়। অনলাইনেও মিলবে। উপাদানগুলোর মধ্যে অন্যতম হল ২৫ গ্রাম শিকাকাই, ২৫ গ্রাম রিঠা এবং ২৫ গ্রাম আমলা। এই ৩টি উপাদান যে কোনও আয়ুর্বেদ শ্যাম্পুর বেস বা ভিত্তি তৈরি করে। প্রথম দুটি প্রাকৃতিক সার্ফ্যাক্টেন্ট হিসাবে কাজ করে। আমলা চুল এবং মাথার ত্বক উভয়কেই সমৃদ্ধ করার প্রচুর বৈশিষ্ট রয়েছে।

এই তিনটি উপাদানের সঙ্গে যোগ করতে হবে ২৫ গ্রাম জবা ফুলের পাপড়ি, ২৫ গ্রাম নিম, ২৫ গ্রাম তুলসি, ২৫ গ্রাম মেথি, ২৫ গ্রাম গোলাপ ফুলের পাপড়ি, ২৫ গ্রাম ব্রাহ্মী, ২৫ গ্রাম সবুজ ছোলা এবং ২৫ গ্রাম চন্দন (ঐচ্ছিক)। এবার এই সবকটা উপাদান মিশিয়ে একটা সূক্ষ মিশ্রণ তৈরি করতে হবে।

পতঞ্জলি কেশকান্তি অ্যান্টি-ড্যানড্রাফ হেয়ার ক্লিনজার, ২০০ মি.লি. 

পতঞ্জলি কেশকান্তি শ্যাম্পু সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরী এবং এর উপাদানগুলি অত্যন্ত কার্যকর খুশকি নিরাময়ের জন্য। তাই এখনো যদি ব্যবহার না করে থাকেন তাহলে এই শীতে খুশকি নিধনে একেই আপনার হাতিয়ার করুন। এটি আপনি ফ্লিপকার্ট থেকে অনলাইনে কিনে ফেলতে পারবেন।

ব্যবহারের পদ্ধতি 

৪ টেবিল চামচ গুঁড়ো পাউডার নিয়ে তাতে ডিস্টিল ওয়াটার মিশিয়ে সেটা শ্যাম্পুর মতো চুলে লাগাতে হবে। ডিস্টিল ওয়াটারের বদলে গোলাপ জল বা দই ব্যবহার করা যায়। তবে ভালো টেক্সচার পাওয়ার জন্য মিশ্রণটাকে ফেটিয়ে নিতে হবে। বাকি পাউডার এয়ার টাইট বোতলে সংরক্ষণ করা যায়। তবে যে কোনও ধরনের আর্দ্রতা থেকে দূরে রাখতে হবে। চার টেবিল চামচ ছোট চুলের জন্য উপযুক্ত, তবে বড় চুল হলে আর একটু বেশি পাউডার নিতে হবে।

গুঁড়ো পাউডারের সঙ্গে ডিস্টল ওয়াটার, গোলাপ জল বা দই সারারাত মিশিয়ে রাখতে পারলে খুব ভালো। তবে আবশ্যক নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেন, চুলে ব্যবহারের অন্তত ৩ ঘণ্টা আগে মিশ্রণটা তৈরি করে নিতে হবে। এছাড়া মিশ্রণটা চুলে লাগাবার আগে ভালো করে ফেটিয়ে নেওয়াটা জরুরি। এতে টেক্সচার ভালো হবে। তবে বাজারচলতি শ্যাম্পুর মতো ফেনার আশা না করাই ভাল। যদিও কাজ হবে বাজারচলতি যে কোনও শ্যাম্পুর থেকে অনেক বেশি!

Next Post Previous Post