রুক্ষ চুলের জন্য কোন শ্যাম্পু ভালো

রুক্ষ চুলের জন্য কোন শ্যাম্পু ভালো

রুক্ষ চুলের জন্য কোন শ্যাম্পু ভালো এই প্রশ্ন অনেকেই করে থাকেন। তবে মনে রাখতে হবে রুক্ষ বা শুষ্ক চুলের জন্য হরমোনের পরিবর্তন বা পুষ্টির ঘাটতি অনেকক্ষেত্রে দায়ী। এছাড়াও নানান পণ্য ব্যবহার ও রং করা চুলের ক্ষতি করে। রুক্ষ ও নির্জীব করে তোলে। তাই এসব বিষয় বিবেচনা করে চুলের পরিচর্যা করা উচিত। মনে রাখতে হবে চুল ও মাথার সকল ধরনের সমস্যা কেবল একটা শ্যাম্পু দিয়ে করা সম্ভব না। অনেক ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হয়। তবে আমরা আপনাদের সাথে একটা শ্যাম্পুর কথা বলছি যা দিয়ে মোটামুটি উপকার পেতে পারেন।

রুক্ষ চুলের জন্য কোন শ্যাম্পু ভালো

প্রাকৃতিক শ্যাম্পু হিসেবে সর্বাধিক পরিচিত ডাভ শ্যাম্পু রুক্ষ এবং স্বাভাবিক সব ধরনের চুলের জন্যই কার্যকরী। ডাভ কন্ডিশনার এর সাথে ডাভ শ্যাম্পু ব্যবহার করে আপনি পাবেন সর্বাধিক উজ্জল চুল। এই শ্যাম্পুতে আছে মনমাতানো সুগন্ধ। চুলের ভাঙ্গন রোধে এতে আছে ডাভ হেয়ার কেয়ার। 

মাথার ত্বকের ধরন বুঝে শ্যাম্পু

সাধারণত, ১৫ থেকে ২৫ বছর বয়সীদের মধ্যে মাথার ত্বক তৈলাক্ত হওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে আর্দ্রতা রক্ষাকারী, ময়েশ্চারাইজিং ও সুদিং শ্যাম্পু এড়ানো ভালো। এগুলো মাথার ত্বককে আরও চিটচিটে ও তৈলাক্ত করে ফেলে।

সালফেট আছে এমন শ্যাম্পু এই ধরনের চুলের জন্য উপকারী। এতে মাথার ত্বকের বাড়তি তেল দূর হয়। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন ঘন ঘন ব্যবহার করা না হয়, এতে চুলের ক্ষতি হতে পারে।

সালফেট আছে এমন শ্যাম্পু ব্যবহারের পরে কন্ডিশনার ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয় যেন পরে চুলের ক্ষতি না হয়।

মাথার ত্বক শুষ্ক হলে সালফেট আছে এমন শ্যাম্পু ব্যবহার না করাই ভালো। এই ধরনের চুলে সালফেট মুক্ত শ্যাম্পু ভালো কাজ করে। মাথার ত্বক পরিষ্কার করার পাশাপাশি প্রাকৃতিক তেল বজায় রাখতে সহায়তা করে।

যাদের মাথার ত্বকে সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য মেডিকেইটেড শ্যাম্পু ব্যবহার করাই শ্রেয়। এই ধরনের শ্যাম্পু বিশেষজ্ঞ দ্বারা স্বীকৃতি এবং সমস্যা সমাধানে উপকারী।

চুলের ধরন বুঝে শ্যাম্পু

যাদের চুল কিছুটা পাতলা তাদের ‘ভলিউম’ বা ঘনত্ব বাড়ায় এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত। এতে চুল দেখতে ঘন লাগে। ঢেউ খেলানো, কোঁকড়া বা রুক্ষ চুলের জন্য আর্দ্রতা রক্ষা করে এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করা ভালো। চুল আর্দ্র থাকার পাশাপাশি উজ্জ্বলও লাগে। এই ধরনের চুলের জন্য সালফেট মুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করা উপকারী।

Next Post Previous Post